ঢাকা ০৩:৫৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

অনিচ্ছা সত্ত্বেও ‘কবুল’ বললে কি বিয়ে হবে?

স্টাফ রিপোর্টার ॥
  • আপডেট সময় : ০৬:১১:২৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • / ৪৪ বার পড়া হয়েছে

ইসলামী শরিয়তে ছেলে এবং মেয়ে দু’জনের মধ্যে স

ইসলামের দৃষ্টিতে বিবাহ শুধু জৈবিক প্রয়োজন পূরণের মাধ্যম নয়- বরং একটি মহান ইবাদত। এটি ধর্মীয় অনুশাসন ও রিচুয়ালের অন্যতম অংশ।

বিবাহ শুদ্ধ হওয়ার শর্ত হল শরীয়তের মুকাল্লাফ (যাদের উপর শরীয়তের বিধান আরোপিত হয়) এমন দুইজন স্বাধীন পুরুষ সাক্ষী বা একজন স্বাধীন পুরুষ ও দুইজন নারী সাক্ষী হতে হবে, যারা প্রস্তাবনা ও কবুল  বলার উভয় বক্তব্য নিজ কানে উপস্থিত থেকে শুনতে পায়। (আদ দুররুল মুখতার-৩/৯, ফাতওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/২৬৮)

মন থেকে সন্তুষ্ট না থাকা সত্বেও যদি দুইজন প্রাপ্ত বয়স্ক মুসলিম পুরুষ একজন পুরুষ ও দুইজন নারী সাক্ষীর সামনে বিয়ের ইজাব কবুল তথা প্রস্তাব ও গ্রহণ হয়ে থাকে। তাহলে বিয়ে সম্পন্ন হয়ে যায়।

যদিও পাত্র বা পাত্রী বিয়ে করতে মন থেকে রাজি না হয়ে থাকে। কারণ বিধান প্রযোজ্য হয় বাহ্যিক অবস্থার উপর। আর সাধারণত বাহ্যিক ইজাব কবুল প্রমাণ করে বিয়েতে পাত্র-পাত্রী রাজি।

সেই হিসেবে ওই মেয়েকে বিয়ে করতে ছেলে রাজি না থাকলেও যদি বিয়ের মজলিসে বিয়ের জন্য ইসলামের যেসব শর্ত আছে, পুরণ করে বিয়ে হয়ে থাকে তাহলে বিয়ে হয়ে যাবে।

সূত্র: ফতোয়ায়ে শামী ৪/৮৭, বাদায়িউসসানায়ে ২/৬০২, ফতোয়ায়ে আলমগীরী ১/২৯৪

ম্পর্ক গড়ে তোলার একমাত্র পদ্ধতি হচ্ছে বিয়ে।

ট্যাগস : Rajbaribd.com

নিউজটি শেয়ার করুন

অনিচ্ছা সত্ত্বেও ‘কবুল’ বললে কি বিয়ে হবে?

আপডেট সময় : ০৬:১১:২৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪

ইসলামী শরিয়তে ছেলে এবং মেয়ে দু’জনের মধ্যে স

ইসলামের দৃষ্টিতে বিবাহ শুধু জৈবিক প্রয়োজন পূরণের মাধ্যম নয়- বরং একটি মহান ইবাদত। এটি ধর্মীয় অনুশাসন ও রিচুয়ালের অন্যতম অংশ।

বিবাহ শুদ্ধ হওয়ার শর্ত হল শরীয়তের মুকাল্লাফ (যাদের উপর শরীয়তের বিধান আরোপিত হয়) এমন দুইজন স্বাধীন পুরুষ সাক্ষী বা একজন স্বাধীন পুরুষ ও দুইজন নারী সাক্ষী হতে হবে, যারা প্রস্তাবনা ও কবুল  বলার উভয় বক্তব্য নিজ কানে উপস্থিত থেকে শুনতে পায়। (আদ দুররুল মুখতার-৩/৯, ফাতওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/২৬৮)

মন থেকে সন্তুষ্ট না থাকা সত্বেও যদি দুইজন প্রাপ্ত বয়স্ক মুসলিম পুরুষ একজন পুরুষ ও দুইজন নারী সাক্ষীর সামনে বিয়ের ইজাব কবুল তথা প্রস্তাব ও গ্রহণ হয়ে থাকে। তাহলে বিয়ে সম্পন্ন হয়ে যায়।

যদিও পাত্র বা পাত্রী বিয়ে করতে মন থেকে রাজি না হয়ে থাকে। কারণ বিধান প্রযোজ্য হয় বাহ্যিক অবস্থার উপর। আর সাধারণত বাহ্যিক ইজাব কবুল প্রমাণ করে বিয়েতে পাত্র-পাত্রী রাজি।

সেই হিসেবে ওই মেয়েকে বিয়ে করতে ছেলে রাজি না থাকলেও যদি বিয়ের মজলিসে বিয়ের জন্য ইসলামের যেসব শর্ত আছে, পুরণ করে বিয়ে হয়ে থাকে তাহলে বিয়ে হয়ে যাবে।

সূত্র: ফতোয়ায়ে শামী ৪/৮৭, বাদায়িউসসানায়ে ২/৬০২, ফতোয়ায়ে আলমগীরী ১/২৯৪

ম্পর্ক গড়ে তোলার একমাত্র পদ্ধতি হচ্ছে বিয়ে।