1:40 pm, Monday, 24 March 2025

বিষণ্নতা কমাবে এই ইলেকট্রিক হেডসেট

বিষণ্নতা কমাতে সহায়তা করছে ফ্লো নিউরোসায়েন্সের তৈরি ইলেকট্রিক হেডসেট। যুক্তরাজ্যের সরকারি স্বাস্থ্যসেবা ‘এনএইচএস’-এর পরীক্ষার পর হেডসেটটি সাধারণের ব্যবহারের জন্য অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তবে, এ ডিভাইসের দীর্ঘমেয়াদী সুবিধাগুলো এখনও অজানা।

এনএইচএসের পরীক্ষার ফলাফল অনুযায়ী, বিষন্নতার লক্ষণ কমিয়ে আনার কার্যকর সমাধান হতে পারে বিদ্যুচ্চালিত হেডসেটটি। যুক্তরাজ্যের সরকারি সেবা খাতেও ডিভাইসটি বিস্তৃত পরিসরে ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

সুইডিশ ভিত্তিক কোম্পানি ‘ফ্লো নিউরোসায়েন্স’ এই ইলেকট্রিক হেডসেটটি বানিয়েছে। যা বিষন্নতায় ভোগা রোগীদেরকে ছয় সপ্তাহের জন্য দৈনিক আধা ঘণ্টা করে পরতে দিয়েছিলেন চিকিৎসকরা। আর একে বিষন্নতা চিকিৎসার ‘ব্যবহারবান্ধব উপায়’ হিসেবে প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে ব্রিটিশ গণমাধ্যম স্কাই নিউজ।

এটি আসলে ‘বিষণ্নতা চিকিৎসার কার্যকর উপায়’ হিসাবে কাজ করেছে, যেখানে ‘ট্রান্সক্র্যানিয়াল ডাইরেক্ট কারেন্ট স্টিমুলেশন’ বা ‘টিডিসিএস’ নামে পরিচিত এক ব্রেইন স্টিমুলেশন পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়েছে। এমনটিই গবেষণায় দেখা গেছে।

মস্তিষ্কের সামনের অংশে সরাসরি দুর্বল বৈদ্যুতিক তরঙ্গ সরবরাহ করার মাধ্যমে মস্তিষ্কে আবেগের বহিঃপ্রকাশ ঘটানো জায়গাগুলোকে প্রাণবন্ত করে তোলে ডিভাইসটি।

ছয় সপ্তাহের এই পরীক্ষায় অংশ নেওয়া ৫৮ শতাংশের বেশি রোগী নিজের মানসিক অবস্থায় উন্নতি দেখেছেন, যেখানে এক তৃতীয়াংশ রোগীর বিষণ্নতার লক্ষণও বন্ধ হয়ে গিয়েছে বলে উল্লেখ করেছে গবেষকরা।

‘বাড়িতেই বিষন্নতার চিকিৎসা করা যায়, এমন প্রথম ও একমাত্র মেডিকেল অনুমোদিত ব্যবস্থা’ এটি, যা বিভিন্ন থেরাপি বা ওষুধের সঙ্গেও ব্যবহার করা যাবে বলছে ফ্লো নিউরোসায়েন্স

ডিভাইসটির পরীক্ষা হয়েছিল ‘নর্থহ্যাম্পটনশায়ার এনএইচএস ফাউন্ডেশনস ট্রাস্ট’-এর রোগীদের ওপর। তবে, কেউ চাইলে ব্যক্তিগতভাবেও এটি কিনতে পারেন, যার জন্য গুনতে হবে ৩৯৯ পাউন্ড (৫০৭ ডলার)।

পরীক্ষায় অংশ নেওয়া রোগীদের একজন ছিলেন জেমস মেইনার্ড, যিনি হেডসেটটি ব্যবহার করার আগে বিষন্নতায় ভুগছিলেন।

মেইনার্ড স্কাই নিউজকে বলেন, আমি মানসিকভাবে খুব ভেঙে পড়েছিলাম। আমার কোনো লক্ষ্য ছিল না। আর দৈনন্দিন জীবন আমি অনেক দুশ্চিন্তার মধ্যে কাটাতাম’

‘কাজে যাওয়া, শিশুদের কাছ থেকে বাড়িতে ফেরা, পারলে ঘুমাতে যাওয়া, এটাই আমার দৈনিক রুটিন ছিল।’

তবে ডিভাইসটি কয়েক সপ্তাহ দৈনিক ৩০ মিনিট করে পরে দেখার পর, নিজের বিষন্নতার লক্ষণ অনেকাংশেই কমে এসেছে বলে দাবি করেন তিনি।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

‘মানুষ একটা ভাল নির্বাচনের জন্য অপেক্ষায় আছে’ -আলী নেওয়াজ মাহমুদ খৈয়াম

বিষণ্নতা কমাবে এই ইলেকট্রিক হেডসেট

Update Time : 05:34:03 pm, Thursday, 5 September 2024

বিষণ্নতা কমাতে সহায়তা করছে ফ্লো নিউরোসায়েন্সের তৈরি ইলেকট্রিক হেডসেট। যুক্তরাজ্যের সরকারি স্বাস্থ্যসেবা ‘এনএইচএস’-এর পরীক্ষার পর হেডসেটটি সাধারণের ব্যবহারের জন্য অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তবে, এ ডিভাইসের দীর্ঘমেয়াদী সুবিধাগুলো এখনও অজানা।

এনএইচএসের পরীক্ষার ফলাফল অনুযায়ী, বিষন্নতার লক্ষণ কমিয়ে আনার কার্যকর সমাধান হতে পারে বিদ্যুচ্চালিত হেডসেটটি। যুক্তরাজ্যের সরকারি সেবা খাতেও ডিভাইসটি বিস্তৃত পরিসরে ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

সুইডিশ ভিত্তিক কোম্পানি ‘ফ্লো নিউরোসায়েন্স’ এই ইলেকট্রিক হেডসেটটি বানিয়েছে। যা বিষন্নতায় ভোগা রোগীদেরকে ছয় সপ্তাহের জন্য দৈনিক আধা ঘণ্টা করে পরতে দিয়েছিলেন চিকিৎসকরা। আর একে বিষন্নতা চিকিৎসার ‘ব্যবহারবান্ধব উপায়’ হিসেবে প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে ব্রিটিশ গণমাধ্যম স্কাই নিউজ।

এটি আসলে ‘বিষণ্নতা চিকিৎসার কার্যকর উপায়’ হিসাবে কাজ করেছে, যেখানে ‘ট্রান্সক্র্যানিয়াল ডাইরেক্ট কারেন্ট স্টিমুলেশন’ বা ‘টিডিসিএস’ নামে পরিচিত এক ব্রেইন স্টিমুলেশন পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়েছে। এমনটিই গবেষণায় দেখা গেছে।

মস্তিষ্কের সামনের অংশে সরাসরি দুর্বল বৈদ্যুতিক তরঙ্গ সরবরাহ করার মাধ্যমে মস্তিষ্কে আবেগের বহিঃপ্রকাশ ঘটানো জায়গাগুলোকে প্রাণবন্ত করে তোলে ডিভাইসটি।

ছয় সপ্তাহের এই পরীক্ষায় অংশ নেওয়া ৫৮ শতাংশের বেশি রোগী নিজের মানসিক অবস্থায় উন্নতি দেখেছেন, যেখানে এক তৃতীয়াংশ রোগীর বিষণ্নতার লক্ষণও বন্ধ হয়ে গিয়েছে বলে উল্লেখ করেছে গবেষকরা।

‘বাড়িতেই বিষন্নতার চিকিৎসা করা যায়, এমন প্রথম ও একমাত্র মেডিকেল অনুমোদিত ব্যবস্থা’ এটি, যা বিভিন্ন থেরাপি বা ওষুধের সঙ্গেও ব্যবহার করা যাবে বলছে ফ্লো নিউরোসায়েন্স

ডিভাইসটির পরীক্ষা হয়েছিল ‘নর্থহ্যাম্পটনশায়ার এনএইচএস ফাউন্ডেশনস ট্রাস্ট’-এর রোগীদের ওপর। তবে, কেউ চাইলে ব্যক্তিগতভাবেও এটি কিনতে পারেন, যার জন্য গুনতে হবে ৩৯৯ পাউন্ড (৫০৭ ডলার)।

পরীক্ষায় অংশ নেওয়া রোগীদের একজন ছিলেন জেমস মেইনার্ড, যিনি হেডসেটটি ব্যবহার করার আগে বিষন্নতায় ভুগছিলেন।

মেইনার্ড স্কাই নিউজকে বলেন, আমি মানসিকভাবে খুব ভেঙে পড়েছিলাম। আমার কোনো লক্ষ্য ছিল না। আর দৈনন্দিন জীবন আমি অনেক দুশ্চিন্তার মধ্যে কাটাতাম’

‘কাজে যাওয়া, শিশুদের কাছ থেকে বাড়িতে ফেরা, পারলে ঘুমাতে যাওয়া, এটাই আমার দৈনিক রুটিন ছিল।’

তবে ডিভাইসটি কয়েক সপ্তাহ দৈনিক ৩০ মিনিট করে পরে দেখার পর, নিজের বিষন্নতার লক্ষণ অনেকাংশেই কমে এসেছে বলে দাবি করেন তিনি।