11:58 am, Monday, 24 March 2025

তুমুল সমালোচনার পর অরুণা বিশ্বাসের ইউটার্ন

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের বিপক্ষে দাঁড়িয়ে একটি প্লাটফর্ম তৈরি করার চেষ্টা করেন আওয়ামীপন্থি তারকারা। এ লক্ষ্যে তারা হোয়াটসঅ্যাপে ‘আলো আসবেই’ নামে একটি গোপন গ্রুপ খুলে সেখানে সক্রিয় হন ১৬০ জন সদস্য।

ওই গ্রুপে অভিনেত্রী অরুণা বিশ্বাস ছাত্রদের ওপরে গরম পানি ঢালার পরামর্শ দিয়েছেন। যা নিয়ে তীব্র ক্ষোভের মুখে পড়েছেন এই তিনি।
তবে এরই মধ্যে জানা গেছে, সরকার পতনের পরপরই তিনি কানাডা পাড়ি জমিয়েছেন। সেখান থেকে পুরো বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন দেশের একটি সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে।

ছাত্রদের ওপরে গরম পানি দেওয়া প্রসঙ্গে অরুণা বলেন, আমরা কিন্তু সেখানে (গ্রুপে) কোনো বাজে কথা বলিনি। আমরা কিন্তু সব সময় বলেছি ছাত্রদের সঙ্গে বসেন। কথা বলেন। আমরা তো আর নীতিনির্ধারণী কেউ না। সেখানে বলা হয়েছে হাসপাতালে আগুন। ওখানে কেউ ঢুকতে পারছে না। আমি বলেছি গরম জল দিলেই হয়। গরম জল তো কামান থেকে দেয়। জলকামান লিখি নাই আর কি। ওখানেই বোধহয় মিসটেক হয়েছে। কামানে যে গরম জল থাকে সেটার কথা বলেছি।

অভিনেত্রী আরও বলেন, আসলে আমরা কেউ কিন্তু ছাত্রদের বিপক্ষে ছিলাম না। আমাদের মিডিয়ার লোকজন তাদের বিপক্ষে দাঁড় করানোর চেষ্টা করেছে। আমরা কিন্তু সন্ত্রাসীদের কথা বলেছি। ছাত্রদের কথা না।

কানাডা থেকে দেশে ফেরার প্রসঙ্গে জানতে চাইলে এড়িয়ে যান অভিনেত্রী। বলেন, এগুলো এখন আর না বলি। এখন কোনো কিছুই নরমাল লাগছে না। কাউকে আপন মনে হচ্ছে না। দেখছি তো অনেক সাংবাদিকের বউ মন্ত্রীদের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে গান গাইছে। অনেক সাংবাদিক জাতীয় পুরস্কার পাইছে। তারা তো ধুমায়া লিখে গেছে। আমি আওয়ামী লীগ করছি ঠিকই, সেন্সর বোর্ডের মেম্বার ছিলাম, কিন্তু আমি তো কোনো নীতিনির্ধারকের জায়গায় ছিলাম না।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিরুদ্ধে লড়াই চালানোর লক্ষ্যে তৎকালীন তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এ আরাফাত এবং সংসদ সদস্য ফেরদৌসের নেতৃত্বে ‘আলো আসবেই’ নামের ওই হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ খোলা হয়, যেখানে আওয়ামীপন্থি শিল্পী ও সাংবাদিকেরা যুক্ত ছিলেন। তবে প্রকাশিত স্ক্রিনশট শটে সক্রিয় ছিলেন অভিনেত্রী সুইটি, সোহানা সাবা, অরুণা বিশ্বাসসহ কয়েকজন।

জনপ্রিয় নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী শুরু থেকেই ছাত্রদের পক্ষ ছিলেন। ওই গ্রুপে ফারুকীকে নিয়েও চলে সমালোচনা। অরুণা সমালোচনার এক পর্ক্সায়ে ফারুকীকে ‘হারামজাদা’ বলে বসেন। এমনকি বিভিন্ন ব্যক্তিকে ‘রাজাকার’ তকমা দেওয়া, আবার শিল্পীদের স্ট্যাটাস-কর্মকাণ্ডে তুলে ধরে তাদের চিহ্নিত করে রাখতে বলেছেন এই অভিনেত্রী।

প্রসঙ্গত, ‘আলো আসবেই’ গ্রুপটিতে আরও ছিলেন সুবর্ণা মুস্তাফা, সোহানা সাবা, বিজরী বরকতুল্লাহ, আজিজুল হাকিম, স্বাগতা, বদরুল আনাম সৌদ, শমী কায়সার, তানভীন সুইটি, রওনক হাসান, মাসুদ পথিক, আশনা হাবীব ভাবনা, শামীমা তুষ্টি, জামশেদ শামীম, উর্মিলা কর, মামুনুর রশিদ, সাজু খাদেম, হৃদি হক, আশরাফ কবীর, দীপান্বিতা মার্টিন, সাইমন সাদিক, জুয়েল মাহমুদ, জায়েদ খান, ঝুনা চৌধুরী, লিয়াকত আলী লাকি, সৈয়দ আওলাদ, নূনা আফরোজ, রোকেয়া প্রাচী, গুলজার, এসএ হক অলীক, লিমন আহমেদ প্রমুখ।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

‘মানুষ একটা ভাল নির্বাচনের জন্য অপেক্ষায় আছে’ -আলী নেওয়াজ মাহমুদ খৈয়াম

তুমুল সমালোচনার পর অরুণা বিশ্বাসের ইউটার্ন

Update Time : 05:47:42 pm, Thursday, 5 September 2024

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের বিপক্ষে দাঁড়িয়ে একটি প্লাটফর্ম তৈরি করার চেষ্টা করেন আওয়ামীপন্থি তারকারা। এ লক্ষ্যে তারা হোয়াটসঅ্যাপে ‘আলো আসবেই’ নামে একটি গোপন গ্রুপ খুলে সেখানে সক্রিয় হন ১৬০ জন সদস্য।

ওই গ্রুপে অভিনেত্রী অরুণা বিশ্বাস ছাত্রদের ওপরে গরম পানি ঢালার পরামর্শ দিয়েছেন। যা নিয়ে তীব্র ক্ষোভের মুখে পড়েছেন এই তিনি।
তবে এরই মধ্যে জানা গেছে, সরকার পতনের পরপরই তিনি কানাডা পাড়ি জমিয়েছেন। সেখান থেকে পুরো বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন দেশের একটি সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে।

ছাত্রদের ওপরে গরম পানি দেওয়া প্রসঙ্গে অরুণা বলেন, আমরা কিন্তু সেখানে (গ্রুপে) কোনো বাজে কথা বলিনি। আমরা কিন্তু সব সময় বলেছি ছাত্রদের সঙ্গে বসেন। কথা বলেন। আমরা তো আর নীতিনির্ধারণী কেউ না। সেখানে বলা হয়েছে হাসপাতালে আগুন। ওখানে কেউ ঢুকতে পারছে না। আমি বলেছি গরম জল দিলেই হয়। গরম জল তো কামান থেকে দেয়। জলকামান লিখি নাই আর কি। ওখানেই বোধহয় মিসটেক হয়েছে। কামানে যে গরম জল থাকে সেটার কথা বলেছি।

অভিনেত্রী আরও বলেন, আসলে আমরা কেউ কিন্তু ছাত্রদের বিপক্ষে ছিলাম না। আমাদের মিডিয়ার লোকজন তাদের বিপক্ষে দাঁড় করানোর চেষ্টা করেছে। আমরা কিন্তু সন্ত্রাসীদের কথা বলেছি। ছাত্রদের কথা না।

কানাডা থেকে দেশে ফেরার প্রসঙ্গে জানতে চাইলে এড়িয়ে যান অভিনেত্রী। বলেন, এগুলো এখন আর না বলি। এখন কোনো কিছুই নরমাল লাগছে না। কাউকে আপন মনে হচ্ছে না। দেখছি তো অনেক সাংবাদিকের বউ মন্ত্রীদের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে গান গাইছে। অনেক সাংবাদিক জাতীয় পুরস্কার পাইছে। তারা তো ধুমায়া লিখে গেছে। আমি আওয়ামী লীগ করছি ঠিকই, সেন্সর বোর্ডের মেম্বার ছিলাম, কিন্তু আমি তো কোনো নীতিনির্ধারকের জায়গায় ছিলাম না।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিরুদ্ধে লড়াই চালানোর লক্ষ্যে তৎকালীন তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এ আরাফাত এবং সংসদ সদস্য ফেরদৌসের নেতৃত্বে ‘আলো আসবেই’ নামের ওই হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ খোলা হয়, যেখানে আওয়ামীপন্থি শিল্পী ও সাংবাদিকেরা যুক্ত ছিলেন। তবে প্রকাশিত স্ক্রিনশট শটে সক্রিয় ছিলেন অভিনেত্রী সুইটি, সোহানা সাবা, অরুণা বিশ্বাসসহ কয়েকজন।

জনপ্রিয় নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী শুরু থেকেই ছাত্রদের পক্ষ ছিলেন। ওই গ্রুপে ফারুকীকে নিয়েও চলে সমালোচনা। অরুণা সমালোচনার এক পর্ক্সায়ে ফারুকীকে ‘হারামজাদা’ বলে বসেন। এমনকি বিভিন্ন ব্যক্তিকে ‘রাজাকার’ তকমা দেওয়া, আবার শিল্পীদের স্ট্যাটাস-কর্মকাণ্ডে তুলে ধরে তাদের চিহ্নিত করে রাখতে বলেছেন এই অভিনেত্রী।

প্রসঙ্গত, ‘আলো আসবেই’ গ্রুপটিতে আরও ছিলেন সুবর্ণা মুস্তাফা, সোহানা সাবা, বিজরী বরকতুল্লাহ, আজিজুল হাকিম, স্বাগতা, বদরুল আনাম সৌদ, শমী কায়সার, তানভীন সুইটি, রওনক হাসান, মাসুদ পথিক, আশনা হাবীব ভাবনা, শামীমা তুষ্টি, জামশেদ শামীম, উর্মিলা কর, মামুনুর রশিদ, সাজু খাদেম, হৃদি হক, আশরাফ কবীর, দীপান্বিতা মার্টিন, সাইমন সাদিক, জুয়েল মাহমুদ, জায়েদ খান, ঝুনা চৌধুরী, লিয়াকত আলী লাকি, সৈয়দ আওলাদ, নূনা আফরোজ, রোকেয়া প্রাচী, গুলজার, এসএ হক অলীক, লিমন আহমেদ প্রমুখ।