চাঁদা না পেয়ে শিক্ষকের বাড়ীর লোকজনকে বেধরক মারধর

- আপডেট সময় : ১২:৪৭:০২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২৫
- / ৬১৮ বার পড়া হয়েছে
রাজবাড়ীর পাংশা সরকারি কলেজের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক (খন্ডকালীন) মোঃ সাদ্দাম হোসেনকে ও তার শ্বশুড় বাড়ী রাজবাড়ীর কালুখালী উপজেলার বোয়ালিয়া ইউনিয়নের বাস্তেখোলা এলাকায় ঘর থেকে ডেকে বাইরে নিয়ে হাতুরি পেটা করেছে চিহ্নত অপরাধীরা।
সাদ্দামকে মারধর করার সময় তার শ্বশুড় ঠেকাতে গেলে তাকে, তার স্ত্রী ও ফফু শাশড়ীকে বেধরক মারপিট করেছে তারা। এ ঘটনায় পাংশা হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ন্ত্রী পলি খাতুন, শশুড় মোহাম্মদ আলী খা। অপর দিকে গুরুত্বর জখম হওয়া ফফু শাশড়ী বলু বেগমকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় রেফার্ড করেছেন পাংশা হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সাদ্দাম হোসেন শনিবার সাংবাদিকদের বলেন, বিগত ১ মাস আগে আমার মুঠো ফেনে চাঁদা দাবী করা হয়, একই সাথে আমার শশুড় বাড়ীতেও চাদাঁর দাবী করা হলে আমি বিষয়টি আমাদের পাংশার একজন নেতাকে জানালে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে আমার উপর এমন হামলা করেছে। আমার শশুড় একজন প্রবাসী। তিনি মাত্র ৪ দিন আগে বাসায় ফিরেছে। আমি তাকে দেখতে আমার স্ত্রী সন্তানদের নিয়ে গিয়েছিলাম। এশার নামাজ পড়ে বাসায় আমরা কথা বলছিলাম, তখন বাস্তেখোলা গ্রামের সাহেবের ছেলে কালাম ওরফে দেবা আমাকে বাইরে ডেকে নিয়ে আসেন কথা আছে বলে। আমি তার সাথে বাইরে রেব হতেই অর্তকৃত ভাবে আমার উপর হামলা করে। আমার চিৎকারে আমার শ্বশুড় মোহাম্মাদ আলী এগিয়ে আসলে তাকেও মারধর করা হয়েছে। আমার স্ত্রী আলপনা এগিয়ে গেলে তাকেও বে-ধরক মারধর করছে ওই সন্ত্রাসীরা। আমার ফফু শাশড়ী বৃদ্ধা মানুষ তাকেও ছাড়েনি তারা। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়া হয়েছে।
এ ঘটনায় পাংশা সরকারি কলেজের শিক্ষক সমিতিসহ শিক্ষক, সুধী মহল এ ঘটনার ত্বীব্র নিন্দা জানিয়ে দোষীদের দ্রুত সময়ের মধ্যে গ্রেফতার পূর্বক দৃষ্ঠান্ত মূলক শান্তির দাবী জানিয়েছেন।
এ ব্যপারে কালুখালী থানার ওসি বলেন, এমন একটি ঘটনা শুনেছি তবে এখন পর্যন্ত কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।