ঢাকা ০৩:২৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২৫, ১১ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

গোয়ালন্দে খাদ্যে প্রক্রিয়াকরণে ব্যবহৃত নিষিদ্ধ টেক্সটাইল রং ও ধনিয়ার শ্বাস জব্দ

স্টাফ রিপোর্টার ॥
  • আপডেট সময় : ১২:০১:৫৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২৪
  • / ১৪৬ বার পড়া হয়েছে

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের অভিযানে টেক্সটাইল রং ও ধনিয়ার শাস জব্দ করেছে।

বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ রাজবাড়ী জেলা কার্যালয়ের নিরাপদ খাদ্য অফিসার মোঃ আসিফুর রহমান কর্তৃক কেন্দ্রীয় কল সেন্টার (১৬১৫৫) নাম্বারে অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে গোয়ালন্দ উপজেলার ছোট ভাকলা ইউনিয়নের বড় ভাকলার উম্মে হাবিবা ট্রেডার্স পরিদর্শন করেন। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন গোয়ালন্দ দায়িত্বপ্রাপ্ত উপজেলা নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শক মাধবী সরকার ও বিএফএসএর নমুনা সংগ্রহ সহকারী আবু সাইদ মোহাম্মদ আলামিন। পরিদর্শনকালে মোতালেব শেখের মালিকানাধীন উম্মে হাবিবা ট্রেডার্সে খাদ্য প্রক্রিয়াকরণে নিষিদ্ধ ক্ষতিকর কাপড়ের রং বা টেক্সটাইল ডাই ব্যবহার করে পান মসলার উপাদান ধনিয়ার শাস প্রক্রিয়া করতে দেখা যায়। নিষিদ্ধ ক্ষতিকর কাপড়ের রং ব্যবহারের কারণে দুই বস্তা (১২০ কেজি) ধনিয়ার শাস ও দশ কেজি ক্ষতিকর হলুদ রং জব্দ করা হয়। এসময় উৎপাদনকারী নিজের অপরাধ স্বীকার করে এবং ভবিষ্যতে এমন ক্ষতিকর কাপড়ের রং ব্যবহার না করে ধনিয়ার শাস উৎপাদন ও নিরাপদ খাদ্য আইন-২০১৩ মেনে ব্যবসা পরিচালনা করবেন বলে জানান। এসময় এলাকাবাসীরা জানান, ভবিষ্যতে উনাকে এমন অপরাধ করে ব্যবসা করতে দিবেন না এবং করতে চাইলে তারা আইনের আশ্রয় নিবেন।
রাজবাড়ী জেলা কার্যালয়ের নিরাপদ খাদ্য অফিসার মোঃ আসিফুর রহমান বলেন, অভিযোগকারীকে ধন্যবাদ জানাতে চাই, উনি সচেতন হয়ে এমন একটি অনিরাপদ পান মসলার উপাদান উৎপাদন নিয়ে আমাদের অবহিত করার জন্য। সকলকে অনুরোধ জানাবো এমন অপরাধ কিংবা অনিরাপদ খাদ্য উৎপাদন পরিলক্ষিত হলে আমাদের জানানোর জন্য। বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ, জেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসন জনগণের স্বার্থে নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতে একত্রে কাজ করে যাবে।
অভিযান শেষে ছোট ভাকলা, কাটাখালী, দৌলতদিয়া বাজার, গোয়ালন্দ মোড় এলাকায় বিভিন্ন খাদ্য প্রতিষ্ঠান, বেকারী, রেস্টুরেন্ট পরিদর্শন করেন নিরাপদ খাদ্য অফিসারসহ তার টিম। এসময় খাদ্য প্রস্তুতকারী কর্মীদের নিরাপদ খাদ্য উৎপাদন বিষয়ক নানান পরামর্শ প্রদান করা হয় এবং জীবাণুর উপস্থিতি নিয়ে সতর্ক করতে তাৎক্ষণিক জীবাণু পরীক্ষণ কিটের সাহায্যে খাদ্য কর্মীর হাত, খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ স্থান পরীক্ষা করা হয়।

ট্যাগস : Rajbaribd.com

নিউজটি শেয়ার করুন

গোয়ালন্দে খাদ্যে প্রক্রিয়াকরণে ব্যবহৃত নিষিদ্ধ টেক্সটাইল রং ও ধনিয়ার শ্বাস জব্দ

আপডেট সময় : ১২:০১:৫৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২৪

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের অভিযানে টেক্সটাইল রং ও ধনিয়ার শাস জব্দ করেছে।

বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ রাজবাড়ী জেলা কার্যালয়ের নিরাপদ খাদ্য অফিসার মোঃ আসিফুর রহমান কর্তৃক কেন্দ্রীয় কল সেন্টার (১৬১৫৫) নাম্বারে অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে গোয়ালন্দ উপজেলার ছোট ভাকলা ইউনিয়নের বড় ভাকলার উম্মে হাবিবা ট্রেডার্স পরিদর্শন করেন। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন গোয়ালন্দ দায়িত্বপ্রাপ্ত উপজেলা নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শক মাধবী সরকার ও বিএফএসএর নমুনা সংগ্রহ সহকারী আবু সাইদ মোহাম্মদ আলামিন। পরিদর্শনকালে মোতালেব শেখের মালিকানাধীন উম্মে হাবিবা ট্রেডার্সে খাদ্য প্রক্রিয়াকরণে নিষিদ্ধ ক্ষতিকর কাপড়ের রং বা টেক্সটাইল ডাই ব্যবহার করে পান মসলার উপাদান ধনিয়ার শাস প্রক্রিয়া করতে দেখা যায়। নিষিদ্ধ ক্ষতিকর কাপড়ের রং ব্যবহারের কারণে দুই বস্তা (১২০ কেজি) ধনিয়ার শাস ও দশ কেজি ক্ষতিকর হলুদ রং জব্দ করা হয়। এসময় উৎপাদনকারী নিজের অপরাধ স্বীকার করে এবং ভবিষ্যতে এমন ক্ষতিকর কাপড়ের রং ব্যবহার না করে ধনিয়ার শাস উৎপাদন ও নিরাপদ খাদ্য আইন-২০১৩ মেনে ব্যবসা পরিচালনা করবেন বলে জানান। এসময় এলাকাবাসীরা জানান, ভবিষ্যতে উনাকে এমন অপরাধ করে ব্যবসা করতে দিবেন না এবং করতে চাইলে তারা আইনের আশ্রয় নিবেন।
রাজবাড়ী জেলা কার্যালয়ের নিরাপদ খাদ্য অফিসার মোঃ আসিফুর রহমান বলেন, অভিযোগকারীকে ধন্যবাদ জানাতে চাই, উনি সচেতন হয়ে এমন একটি অনিরাপদ পান মসলার উপাদান উৎপাদন নিয়ে আমাদের অবহিত করার জন্য। সকলকে অনুরোধ জানাবো এমন অপরাধ কিংবা অনিরাপদ খাদ্য উৎপাদন পরিলক্ষিত হলে আমাদের জানানোর জন্য। বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ, জেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসন জনগণের স্বার্থে নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতে একত্রে কাজ করে যাবে।
অভিযান শেষে ছোট ভাকলা, কাটাখালী, দৌলতদিয়া বাজার, গোয়ালন্দ মোড় এলাকায় বিভিন্ন খাদ্য প্রতিষ্ঠান, বেকারী, রেস্টুরেন্ট পরিদর্শন করেন নিরাপদ খাদ্য অফিসারসহ তার টিম। এসময় খাদ্য প্রস্তুতকারী কর্মীদের নিরাপদ খাদ্য উৎপাদন বিষয়ক নানান পরামর্শ প্রদান করা হয় এবং জীবাণুর উপস্থিতি নিয়ে সতর্ক করতে তাৎক্ষণিক জীবাণু পরীক্ষণ কিটের সাহায্যে খাদ্য কর্মীর হাত, খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ স্থান পরীক্ষা করা হয়।