পাংশার জমি দখলের অভিযোগ
- আপডেট সময় : ১২:৩১:১৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪
- / ৭১ বার পড়া হয়েছে
রাজবাড়ীর পাংশায় জমি নিয়ে বিরোধের জেরে গাছ কর্তন ও বাঁশের বেড়া দিয়ে জমি দখলের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার মৌরাট ইউনিয়নের মহিষভাঙ্গা গ্রামে।
জানা যায় বিগত প্রায় ৭-৮ মাস যাবত মহিষভাঙ্গা গ্রামের মৃত ইসহাক আলী মৃধার তিন ছেলে মুকাই মৃধা, কেসমত আলী মৃধা ও জব্বার আলী মৃধার সাথে পার্শ্ববর্তী কাশেম মৃধার ছেলে শহীদ মৃধা, বশির মৃধা, শাহাদত মৃধার ছেলে নজরুল মৃধা, তায়জদ্দিন মৃধার ছেলে শাহাদত মৃধা, নাদের মৃধা, কাশেম মৃধার ছেলে বশির মৃধা এবং নাদের মৃধার ছেলে বাবলু মৃধার সাথে জমিজমা নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ২৫ সেপ্টেম্বর বাবলু মৃধা গং প্রতিপক্ষের নিজ জমিতে থাকা একটি পুরনো চার মাথাওয়ালা একটি খেজুর গাছ কর্তন করে এবং জোর পূর্বক জমিতে বাঁশের বেড়া দিয়ে জমি দখলে নেয়ার চেষ্টা করেন। এ বিষয়ে জব্বার মৃধা পাংশা থানায় ৭ জনের নাম উল্লেখ করে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছে বলে জানা গেছে। বিরোধপূর্ণ এই জমি নিয়ে স্থানীয়রা কয়েকবার শালিসী বৈঠক বসালেও তাতে কোন সমাধান হয়নি বলে জানা এলাকাবাসী।
জমি দখল ও গাছ কর্তনের বিষয়ে জব্বার মৃধা বলেন, আমি রেকর্ডীয় মালিকের নিকট থেকে জমি ক্রয় করে দীর্ঘ দিন ভোগদখল করে আসছিলাম। কিন্তু ৫ আগস্টের পর অভিযুক্ত ব্যক্তিরা জোরপূর্বক আমার জমিতে প্রবেশ করে বাঁশের বেড়া দিয়ে যাতায়াতের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছে এবং আমাদের না জানিয়ে আমাদের একটি খেজুর গাছ কর্তন করেছে। আমরা এ বিষয়ে তাদেরকে কিছু বলতে গেলে তারা মারমুখী হয়ে ওঠে। তাই আমি থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।
ঘটনার বিষয়ে অভিযুক্ত বাবলু মৃধা বলেন, রাস্তায় চলাচল করতে অসুবিধা হওয়ায় ওই খেজুর গাছ কাটা হয়েছে, যা বিভিন্ন সময় চেয়ারম্যানসহ সকলেই কাটতে বলেছিল। তিনি আরো বলেন- আমাদের ক্রয়কৃত ৫ শতাংশ জমির মধ্যে আমরা দেড় শতাংশ রেকর্ডীয় মালিক। বাকি সাড়ে ৩ শতাংশ জমি আমাদের দখলে নেই। তাই আমরা আমাদের জমিতেই বেড়া দিয়েছি। তবে আমরা এ বিষয়ে আদালতে মামলা দায়ের করার প্রস্তুতি নিয়েছি। জমি দখল ও গাছ কর্তনকে কেন্দ্র করে তাদের মধ্যে বড় ধরণের সংঘাতের সৃষ্টির আশংকা করছেন এলাকাবাসী।
স্থানীয় একাধিক ব্যাক্তি বলেন দুটি পক্ষ শালিশ ডাকলেও তারা নিজেরাই মানেন না, উভয় পক্ষের মধ্যে বড় ধরনের রক্তক্ষয়ী সংর্ঘসের সম্ভবনা বিরাজও মান।
এ ব্যাপারে পাংশা মডেল থানার এস আই মোঃ কামাল হোসেন বলেন-এ বিষয় নিয়ে একাধিক অভিযোগ থানায় পড়েছে বিভিন্ন সময় তাদের ডেকে সমাধান করার চেষ্টা করা হলেও তারা কখনো এক পক্ষ মানেন তো অন্য পক্ষ মানেন না ,আর জমি সংক্রান্ত বিরোধ আসলে আদালতের বিষয় আমরা শান্তি রক্ষার্থে কাজ করে থাকি।