বালিয়াকান্দি উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান গ্রেফতার
- আপডেট সময় : ১২:১৩:১০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪
- / ১২৯ বার পড়া হয়েছে
ছাত্রদল নেতাকে অপহরণের পর নির্যাতন করে হত্যাচেষ্টা ও চাঁদাবাজির মামলায় রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. আবুল কালাম আজাদকে গ্রেফতার করেছে যৌথ বাহিনী।
শুক্রবার (২২ নভেম্বর) দিবাগত রাত ১টার দিকে কালুখালী উপজেলার বোয়ালিয়া এলাকার মেয়ের শ্বশুর বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
জনা গেছে, গত ২৫ আগস্ট রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি আমলী আদালতে সাবেক রেলমন্ত্রী জিল্লুল হাকিম, তার ছেলে আশিক মাহমুদ মিতুল হাকিম ও আবুল কালাম আজাদসহ ১৩ জনের নামে মামলা দায়ের করা হয়। এছাড়া এ মামলায় অজ্ঞাতনামা আরও তিনজনকে আসামি করা হয়। মামলাটি দায়ের করেন জিয়া স্মৃতি পাঠাগার কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও জেলা ছাত্রদলের সাবেক সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক বালিয়াকান্দি উপজেলার বিলধামু গ্রামের আব্দুল মালেকের ছেলে তুহিনুর রহমান। মামলায় তাকে অপহরণের পর নির্যাতন করে হত্যাচেষ্টা ও চাঁদাবাজির অভিযোগ আনা হয়। মামলাটি আদালতের বিচারক মৌসুমী সাহা আমলে নিয়ে বালিয়াকান্দি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) এফআইআর হিসেবে গ্রহণ করার নির্দেশ দেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১৪ সালের ১২ জানুয়ারি তুহিনকে তৎকালীন রাজবাড়ী-২ আসনের এমপি ও সাবেক রেলমন্ত্রী জিল্লুল হাকিমের নির্দেশে মামলার অন্য আসামিরা অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে একটি মাইক্রোবাসে অপহরণ করে। পরে নায়েব আলীর বাড়ির একটি নির্জন কক্ষে নিয়ে বালিয়াকান্দি থানার সাবেক ওসি আবু সামা মো. ইকবাল হায়াতসহ অন্যদের সহায়তায় তুহিনের পা উল্টা করে ঝুলিয়ে নির্যাতন চালিয়ে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তাকে মেরে মেরুদণ্ডের হাড় ভেঙে ফেলার পাশাপাশি বৈদ্যুতিক শক দেয়া হয়। পরে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দিলে তাকে পেন্ডিং মামলায় চালান দেয়া হয়। এরপর তিনি জামিনে মুক্ত হয়ে ভারতের চেন্নাইয়ে অ্যাপোলো হাসপাতাল ও ভেলোরে সিএনসি হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। পরে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের আর্থিক সহায়তায় তিনি রাজধানীর ইবনেসিনা হাসপাতালে মেরুদণ্ডের অস্ত্রপচার করে সি-৪ ও সি-৬ কৃত্তিম ডিক্স স্থাপন করলেও এখনো সম্পূর্ণ সুস্থ হতে পারেননি। উল্লেখিতদের বিরুদ্ধে তিনি মামলা করতে চাইলে তাকে ক্রস ফায়ারের হুমকি দিয়ে দমিয়ে রাখা হয়। ক্রসফায়ারের ভয়ে তিনি এতোদিন পরিবার নিয়ে রাজবাড়ী জেলার বাইরে বসবাস করছিলেন। দেশের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে তিনি এ মামলাটি দায়ের করেন।
বালিয়াকান্দি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জামাল উদ্দিন বলেন, ‘তুহিনুর রহমানের দায়ের করা মামলায় ৭ নম্বর আসামি আবুল কালাম আজাদ। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) দিবাগত রাত ১টার দিকে কালুখালী উপজেলার বোয়ালিয়া এলাকার মেয়ের বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। শনিবার তাকে আদালতে সোপর্দ করা হবে।’