রাজবাড়ীতে দুর্গা প্রতিমা ভাঙ্গচুর
- আপডেট সময় : ০৮:০৭:১৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ অক্টোবর ২০২৪
- / ১৬৩ বার পড়া হয়েছে
রাজবাড়ী শহরের বাস মালিক সমিতির পাশে অবস্থিত সজ্জনকান্দা মধ্যপাড়া সর্বজনীন দুর্গা পূজা মন্ডপে প্রতিমা ভাঙ্গচুর হয়েছে।
মঙ্গলবার বেলা ১০টা থেকে ১১ টার মধ্যে এ ভাঙ্গচুরের ঘটনা ঘটেছে বলে জানান মন্দির কর্তৃপক্ষ ও পুলিশ। ঐ সময় মন্দিরে কোন লোকজন ছিল না।
পুলিশ ও মন্দির কমিটির সাথে কথা বলে জানা যায়, অস্থায়ী ভাবে মন্দির তৈরি করে রাজবাড়ী- ফরিদপুর আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশে এই পূজা অনুষ্ঠিত হয়। মন্দিরের পেছনে বাস মালিক সমিতির কার্যালয়। রাতে মন্দিরে পাহারার ব্যবস্থা ছিল। সকালে পাহারাদার চলে যায়। বেলা ১১টার দিকে ডেকোরেটার শ্রমিক মন্দিরে সিসি ক্যামেরা লাগানো ও সাজসজ্জার কাজ করতে আসে। এসময় মন্দিরের সামনে থাকা কাপর সরালে প্রতীমা ভাঙ্গচুরের বিষয়টি চোখে পড়ে। মন্দিরে থাকা দুর্গা, সরস্বতী, লক্ষীর চোখ, নাক, মুখ ভেঙ্গে ফেলা হয়। এছাড়া কার্তিক ও গনেশের ঘার থেকে ভেঙ্গা ফেলা হয়। ডেকোরেটরের শ্রমিক বিষয়টি মন্দির কমিটিকে জানালে তারা প্রতীমা ভাঙ্গচুরের বিষয়টি গোপন রাখতে বলে। সন্ধার পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রতিমা ভাঙ্গচুরের বিষয় নিয়ে নিন্দার ঝড় ওঠে। অনেকেই ঘটনার সঠিক তদন্ত দাবি করে দোষীদের বিচার চান। পরে ঘটনা স্থলে পুলিশ সুপার, জেলা প্রশাসক ও সেনাবাহিনীর কর্মকর্তারা উপস্থিত হয়।
দীর্ঘ বছর ধরে রাজবাড়ী বাস মালিক সমিতির আয়োজনে বাস মালিক সমিতির কার্যালয়ে সামনে অস্থায়ী মন্দির তৈরি করে দুর্গা পূজা অনুষ্ঠিত হত। সেখানে স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায় পূজায় অংশগ্রহণ করতো। এবছর বাস মালিক সমিতির আয়োজনে ঐ পূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে না। এই কারনে স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায়ের আয়োজনে সজ্জনকান্দা মধ্যপাড়া সার্বজনীন মন্ডপের নামে এ পূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সজ্জনকান্দা সার্বজনীন দু্র্গা মন্ডপের সভাপতি এ্যাড সাধন চন্দ্র দাস বিষয়টি নিয়ে কোন কথা বলেনি গণমাধ্যমে। তবে এই পুজা মন্ডপের উদ্যোগ্তা কুন্জন সরকার জানান, কারা ঘটনা ঘটেয়েছে বিষয়টি আমরা জানি না। এজন্য কারো প্রতি আমাদের কোন অভিযোগ নেই। আর এই কারনেই আমরা ঘটনা কাউকে জানায়নি। রাতের মধ্যেই প্রতিমা আমরা ঠিক করে ফেলবো। এজন্য প্রতিমা শিল্পীদেরও নিয়ে এসেছি।
রাজবাড়ীর পুলিশ সুপার মোছাঃ শামীমা পারভীন জানান, ধারনা করা হচ্ছে প্রতীমা ভাঙ্গচুরের ঘটনা বেলা ১০টা থেকে ১১টার দিকে ঘটেছে। বিষয়টি মন্দির কর্তৃপক্ষ আমাদের জানায়নি। আমাদের সোর্সের মাধ্যমে জেনে দ্রুত মন্দিরে এসেছি। এই ঘটনার সাথে জরিতদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। আমরা শহরের প্রতিটি মন্দিরে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করতে মন্দির কর্তৃপক্ষকে অনেক বার অনুরোধ করেছি। কিন্তু এই মন্দিরে আজকে ঘটনা ঘটার পর সিসি ক্যামেরা স্থাপন করেছে। বিষয়টি তদন্ত করে দোষী বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।