ঢাকা ০৭:৩৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ছাত্র-জনতার জুলাই বিপ্লবের স্মরণে রাজশাহীতে ‘শহিদি মার্চ’

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৫:৫৫:২৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • / ৩২ বার পড়া হয়েছে

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের পতনের এক মাস পূর্তি ও শহিদদের স্মরণে রাজশাহীতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ‘শহিদি মার্চ’ কর্মসূচি পালিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে ৪টায় নগরীর তালাইমারি মোড়ে নগরীর বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীসহ নানান শ্রেণি-পেশার মানুষ কর্মসূচিতে অংশ নেন।

কর্মসূচিতে রাজশাহীর অন্যতম সমন্বয়ক মাহমুদ উল হাসান মাসুদ বলেন, আজ থেকে ঠিক এক মাস আগে আমার ভাইদের রক্তাক্ত করা হয়েছিল। আমরা এই শহিদের উত্তরসূরিদের বলতে চাই, আমরা শহিদের বদলা না নেওয়া পর্যন্ত ময়দান ছাড়ব না। রাজশাহীর শহিদ সাকিব রায়হান ভাই আমাদের নেতৃত্ব দিচ্ছিল, আমার সেই ভাইদের ওপর যারা গুলি চালিয়েছিল আমরা শুনেছি তারা ক্যান্টনমেন্ট নিরাপদে রয়েছে। তাদের জনতার হাতে তুলে দিতে হবে। আমরা রাজপথ ছেড়ে দিইনি। আমরা শহিদের রক্ত বৃথা যেতে দেব না।

এ সময় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক মেহেদি হাসান মুন্না বলেন, আমরা স্বাধীনতা উপভোগ করব কিন্তু ভোগ করব না। আমরা রক্তের উপর দাঁড়িয়ে আজ কথা বলছি। এই রক্ত আমাদের সাহস জুগিয়েছে। আমরা এখনো বুঝতে পারিনি আমরা কি অর্জন করেছি। ছাব্বিশের ছাত্র জনতার আন্দোলন ব্যর্থ হলে রাষ্ট্র মেরামতের আর সুযোগ থাকবে না। আমাদের স্বাধীনতা সফল না হওয়া পর্যন্ত আমরা রাজপথে থাকব।

কর্মসূচিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক গোলাম কিবরিয়া মোহাম্মদ মেশকাত চৌধুরী বলেন, গত ৫ আগস্টে  আমরা ঘোষণা দিয়েছিলাম এ বাংলাদেশকে ইতিহাসের সাক্ষী বানাব। আমরা সেটা করে দেখিয়েছি কিন্তু আমাদের আড়ালে এখনো ফ্যাসিবাদ হাসতেছে। মুক্তিযুদ্ধের সময় আওয়ামী লীগের বেশিরভাগ নেতারা ভারতে গিয়ে পালিয়েছিল। গত ১৫ বছর ধরে যে প্র্যাকটিসের সঙ্গে আমরা বেড়ে উঠেছি, সেখানে সঠিক ইতিহাসের বিকৃত করা হয়েছে। এক ফ্যাসিবাদকে আমরা দেশত্যাগ করিয়েছি এর সুযোগে অন্য কোনো ফ্যাসিবাদ যেন মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে না পারে, সে বিষয়ে আমাদের সোচ্চার থাকতে হবে। আমাদের মনের ভেতর যে ফ্যাসিজম আছে সেটাকে আগে টেনে বের করে দিতে হবে। সবার আগে নিজেকে গড়তে হবে।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সমন্বয়ক সালাহউদ্দিন আম্মারের সঞ্চালনায় এ সময় রাজশাহী নগরীর প্রায় তিন শতাধিক ছাত্রজনতা কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন।

ট্যাগস : Rajbaribd.com

নিউজটি শেয়ার করুন

ছাত্র-জনতার জুলাই বিপ্লবের স্মরণে রাজশাহীতে ‘শহিদি মার্চ’

আপডেট সময় : ০৫:৫৫:২৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের পতনের এক মাস পূর্তি ও শহিদদের স্মরণে রাজশাহীতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ‘শহিদি মার্চ’ কর্মসূচি পালিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে ৪টায় নগরীর তালাইমারি মোড়ে নগরীর বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীসহ নানান শ্রেণি-পেশার মানুষ কর্মসূচিতে অংশ নেন।

কর্মসূচিতে রাজশাহীর অন্যতম সমন্বয়ক মাহমুদ উল হাসান মাসুদ বলেন, আজ থেকে ঠিক এক মাস আগে আমার ভাইদের রক্তাক্ত করা হয়েছিল। আমরা এই শহিদের উত্তরসূরিদের বলতে চাই, আমরা শহিদের বদলা না নেওয়া পর্যন্ত ময়দান ছাড়ব না। রাজশাহীর শহিদ সাকিব রায়হান ভাই আমাদের নেতৃত্ব দিচ্ছিল, আমার সেই ভাইদের ওপর যারা গুলি চালিয়েছিল আমরা শুনেছি তারা ক্যান্টনমেন্ট নিরাপদে রয়েছে। তাদের জনতার হাতে তুলে দিতে হবে। আমরা রাজপথ ছেড়ে দিইনি। আমরা শহিদের রক্ত বৃথা যেতে দেব না।

এ সময় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক মেহেদি হাসান মুন্না বলেন, আমরা স্বাধীনতা উপভোগ করব কিন্তু ভোগ করব না। আমরা রক্তের উপর দাঁড়িয়ে আজ কথা বলছি। এই রক্ত আমাদের সাহস জুগিয়েছে। আমরা এখনো বুঝতে পারিনি আমরা কি অর্জন করেছি। ছাব্বিশের ছাত্র জনতার আন্দোলন ব্যর্থ হলে রাষ্ট্র মেরামতের আর সুযোগ থাকবে না। আমাদের স্বাধীনতা সফল না হওয়া পর্যন্ত আমরা রাজপথে থাকব।

কর্মসূচিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক গোলাম কিবরিয়া মোহাম্মদ মেশকাত চৌধুরী বলেন, গত ৫ আগস্টে  আমরা ঘোষণা দিয়েছিলাম এ বাংলাদেশকে ইতিহাসের সাক্ষী বানাব। আমরা সেটা করে দেখিয়েছি কিন্তু আমাদের আড়ালে এখনো ফ্যাসিবাদ হাসতেছে। মুক্তিযুদ্ধের সময় আওয়ামী লীগের বেশিরভাগ নেতারা ভারতে গিয়ে পালিয়েছিল। গত ১৫ বছর ধরে যে প্র্যাকটিসের সঙ্গে আমরা বেড়ে উঠেছি, সেখানে সঠিক ইতিহাসের বিকৃত করা হয়েছে। এক ফ্যাসিবাদকে আমরা দেশত্যাগ করিয়েছি এর সুযোগে অন্য কোনো ফ্যাসিবাদ যেন মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে না পারে, সে বিষয়ে আমাদের সোচ্চার থাকতে হবে। আমাদের মনের ভেতর যে ফ্যাসিজম আছে সেটাকে আগে টেনে বের করে দিতে হবে। সবার আগে নিজেকে গড়তে হবে।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সমন্বয়ক সালাহউদ্দিন আম্মারের সঞ্চালনায় এ সময় রাজশাহী নগরীর প্রায় তিন শতাধিক ছাত্রজনতা কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন।