ঢাকা ১২:২৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

‘আলো আসবেই’ গ্রুপের তারকাদের উদ্দেশে যা বললেন মামুনুর রশীদ

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৫:৫০:২৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • / ২২ বার পড়া হয়েছে

দেশের শোবিজ অঙ্গন ‘আলো আসবেই’ গ্রুপের স্ক্রিনশট ফাঁস হওয়ার পর থেকেই গ্রুপে থাকা তারকাদের প্রতি ঘৃণা প্রকাশ করছে
কেউ কেউ দাবি জানাচ্ছেন তাদের বিচারের আওতায় আনার। বিষয়টি নিয়ে এবার কথা বললেন বর্ষীয়ান অভিনেতা ও নাট্য ব্যক্তিত্ব মামুনুর রশীদ।

তার কথায়, ‘শিল্পীরা সেই গ্রুপে এমনটা করে দায়িত্বশীলতার পরিচয় দেয়নি। তারা এমন সব কমেন্ট করেছে, যেটা ক্ষমার অযোগ্য। এসব উক্তি একজন শিল্পীর কাছ থেকে অনভিপ্রেত বলে মনে করি। গরম পানি ঢেলে দাও-এটা একজন শিল্পী বলতে পারে না। যারা এসব উক্তি করেছে, তাদের দায়িত্ব নিজেদেরই নিতে হবে।’

মামুনুর বলেন, ‘আমি শিল্পীদের মধ্যে স্পষ্ট বিভাজন লক্ষ্য করছি, যেটা অত্যন্ত বেদনাদায়ক। এটা যে কীভাবে সমাধান হবে, সেটাই বুঝতে পারছি না।

আমার মনে হয়, সেই শিল্পীদের উচিত হবে নিজ দায়িত্বে ক্ষমা চাওয়া। তবে এত দিন পরে এই কথাগুলো তুলে আরও বিভাজন সৃষ্টি করা উচিত নয়। যে স্ক্রিনশটগুলো ফাঁস হয়েছে, সেখানে অভিনয়শিল্পীদের ফোন নম্বর দেওয়া ছিল। এর কারণে অনেকে হয়রানির শিকার হচ্ছে। এটাও তো ঠিক নয়।’

উল্লেখ্য, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকে দমিয়ে রাখতে ছাত্রদের ওপর বিভিন্ন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটানোর পরিকল্পনায় মত্ত ছিল হাসিনাপন্থী তারকারা।

সরকার পতনের আগ মুহূর্তেই এসব পরিকল্পনার সুতো বাঁধা হচ্ছিল। চাটুকার খ্যাতি পাওয়া সেসব তারকাদের কাজ ছিল, কারা ছাত্র আন্দোলনের পক্ষে, আর কারা বিপক্ষে, তা চিহ্নিত করা। বলে রাখা ভাল, ছাত্র আন্দোলন চলাকালে দেশের তারকা অঙ্গন দু ভাগে বিভক্ত হয়।

মূলত ‘আলো আসবেই’ নামের সেই গ্রুপে সরব ছিল আওয়ামীপন্থি তারকারা।

সেই গ্রুপের নেতৃত্বে ছিলেন ঢাকা-১০ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও চিত্রনায়ক ফেরদৌস আহমেদ, সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এ আরাফাত ও চিত্রনায়ক রিয়াজ।

আরও ছিলেন অভিনেত্রী শামীমা তুষ্টি, তানভীন সুইটি, সোহানা সাবা, অরুণা বিশ্বাস, অভিনেতা সাজু খাদেমসহ আরও অনেকেই।

ট্যাগস : Rajbaribd.com

নিউজটি শেয়ার করুন

‘আলো আসবেই’ গ্রুপের তারকাদের উদ্দেশে যা বললেন মামুনুর রশীদ

আপডেট সময় : ০৫:৫০:২৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪

দেশের শোবিজ অঙ্গন ‘আলো আসবেই’ গ্রুপের স্ক্রিনশট ফাঁস হওয়ার পর থেকেই গ্রুপে থাকা তারকাদের প্রতি ঘৃণা প্রকাশ করছে
কেউ কেউ দাবি জানাচ্ছেন তাদের বিচারের আওতায় আনার। বিষয়টি নিয়ে এবার কথা বললেন বর্ষীয়ান অভিনেতা ও নাট্য ব্যক্তিত্ব মামুনুর রশীদ।

তার কথায়, ‘শিল্পীরা সেই গ্রুপে এমনটা করে দায়িত্বশীলতার পরিচয় দেয়নি। তারা এমন সব কমেন্ট করেছে, যেটা ক্ষমার অযোগ্য। এসব উক্তি একজন শিল্পীর কাছ থেকে অনভিপ্রেত বলে মনে করি। গরম পানি ঢেলে দাও-এটা একজন শিল্পী বলতে পারে না। যারা এসব উক্তি করেছে, তাদের দায়িত্ব নিজেদেরই নিতে হবে।’

মামুনুর বলেন, ‘আমি শিল্পীদের মধ্যে স্পষ্ট বিভাজন লক্ষ্য করছি, যেটা অত্যন্ত বেদনাদায়ক। এটা যে কীভাবে সমাধান হবে, সেটাই বুঝতে পারছি না।

আমার মনে হয়, সেই শিল্পীদের উচিত হবে নিজ দায়িত্বে ক্ষমা চাওয়া। তবে এত দিন পরে এই কথাগুলো তুলে আরও বিভাজন সৃষ্টি করা উচিত নয়। যে স্ক্রিনশটগুলো ফাঁস হয়েছে, সেখানে অভিনয়শিল্পীদের ফোন নম্বর দেওয়া ছিল। এর কারণে অনেকে হয়রানির শিকার হচ্ছে। এটাও তো ঠিক নয়।’

উল্লেখ্য, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকে দমিয়ে রাখতে ছাত্রদের ওপর বিভিন্ন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটানোর পরিকল্পনায় মত্ত ছিল হাসিনাপন্থী তারকারা।

সরকার পতনের আগ মুহূর্তেই এসব পরিকল্পনার সুতো বাঁধা হচ্ছিল। চাটুকার খ্যাতি পাওয়া সেসব তারকাদের কাজ ছিল, কারা ছাত্র আন্দোলনের পক্ষে, আর কারা বিপক্ষে, তা চিহ্নিত করা। বলে রাখা ভাল, ছাত্র আন্দোলন চলাকালে দেশের তারকা অঙ্গন দু ভাগে বিভক্ত হয়।

মূলত ‘আলো আসবেই’ নামের সেই গ্রুপে সরব ছিল আওয়ামীপন্থি তারকারা।

সেই গ্রুপের নেতৃত্বে ছিলেন ঢাকা-১০ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও চিত্রনায়ক ফেরদৌস আহমেদ, সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এ আরাফাত ও চিত্রনায়ক রিয়াজ।

আরও ছিলেন অভিনেত্রী শামীমা তুষ্টি, তানভীন সুইটি, সোহানা সাবা, অরুণা বিশ্বাস, অভিনেতা সাজু খাদেমসহ আরও অনেকেই।