9:52 pm, Sunday, 20 April 2025

গোয়ালন্দে কৃষকের পেঁয়াজ ক্ষেতে ঔষধ ছিটিয়ে পুড়িয়ে দেয়ার অভিযোগ 

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে পূর্ব দ্বন্দ্বের জের ধরে দেবগ্রাম ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের দক্ষিণ চর পাঁচুরিয়া অম্বলপুর গ্রামের মৃত তাইজদ্দিন শেখের ছেলে দরিদ্র কৃষক শামজাদ শেখের (৫৫) প্রায় দেড়বিঘা জমির অর্ধ পরিপক্ক পিঁয়াজে পচন ঔষধ (আগাছা নাশক) ছিটিয়ে নষ্ট করার অভিযোগ পাওয়া গেছে স্থানীয় এক যুবকের বিরুদ্ধে।

ভুক্তভোগী ওই কৃষক শামজাদ এ  বিষয়ে বৃহস্পতিবার গোয়ালন্দ ঘাট থানা, উপজেলা নির্বাহী অফিস ও কৃষি কর্মকর্তা বরাবর ওই যুবকের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেছেন। অভিযুক্ত ওই যুবক আব্দুস ছাত্তার শেখ (৪০) একই এলাকার গেদা শেখের ছেলে। শুক্রবার ওই চাষির কৃষি জমিতে গিয়ে দেখা যায়, আগাছা নাশক তরল ঔষধ স্প্রে করায় অর্ধ পরিপক্ব পিঁয়াজের গাছগুলো পচন ধরে শুকিয়ে সম্পুর্ন ক্ষেত সাদা হয়ে গেছে। ভুক্তভোগী দরিদ্র কৃষক শামজাদ শেখ ক্ষেতের মধ্যে আহাজারি করছেন। পাশ্ববর্তী কৃষকরা তাকে শান্তনা দিচ্ছেন। এ সময় শামজাদ শেখ জানান, মাস কয়েক আগে আমার ধানের জমি থেকে ওই ছাত্তার পানি কেটে নেয়াকে কেন্দ্র করে তার সাথে আমার  দ্বন্দ্ব চলে আসছিলো। ওই ঘটনার জের ধরে সে সপ্তাহ খানেক আগে এই আধাপাকা দেড় বিঘা পিঁয়াজ ও রসুন ক্ষেতে ঘাস মারা ঔষধ দিয়ে নষ্ট করে দিয়েছে। এতে আমার সারে ৩ থেকে ৪ লক্ষ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। গ্রামের লোকজন শালিশ বিচার করে তাকে ৩ লাক্ষ টাকা জরিমানা করেছে। সে জরিমানা নাদিয়ে শালিশ বৈঠক থেকে কৌশলে পালিয়ে গিয়ে উল্টো আমাকে মারপিটের হুমকি দিচ্ছে। নিরূপায় হয়ে আমি থানা পুলিশ ও প্রশাসনের কাছে অভিযোগ করেছি। আমি এই ক্ষতিসহ ওর উপযুক্ত বিচার চাই। স্থানীয় কৃষক রমজান আলী, কালাম শেখ, জসিম শেখসহ একাধিক ব্যক্তি জানান, ছাত্তার খারাপ প্রকৃতির লোক। এর আগেও এক কৃষকের উচ্ছে ক্ষেতে ঔষধ ছিটিয়ে নষ্ট করেছিলো। আবার এই পিয়াজ ক্ষেত নষ্ট করেছে। সে কোন শালিশ বিচার মানেনা। অভিযুক্ত ছাত্তারকে পাওয়া যায়নি। তবে তার বৃদ্ধ পিতা গেদাই শেখ বলেন, আমার ছেলে একাজ করে নাই। শালিশ বিচার হয়েছে কিনা তাও আমি জানি না।

গোয়ালন্দ ঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাকিবুল ইসলাম জানান, অভিযোগের সত্যতা ক্ষতিয়ে দেখে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাহিদুর রহমান  বলেন, ওই কৃষকের অভিযোগটি তদন্তের জন্য উপজেলা কৃষি অফিসারকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তিনি তদন্ত রিপোর্ট দেয়ার পর পরবর্তী সিন্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Popular Post

‘মানুষ একটা ভাল নির্বাচনের জন্য অপেক্ষায় আছে’ -আলী নেওয়াজ মাহমুদ খৈয়াম

গোয়ালন্দে কৃষকের পেঁয়াজ ক্ষেতে ঔষধ ছিটিয়ে পুড়িয়ে দেয়ার অভিযোগ 

Update Time : 06:48:38 pm, Friday, 3 January 2025

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে পূর্ব দ্বন্দ্বের জের ধরে দেবগ্রাম ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের দক্ষিণ চর পাঁচুরিয়া অম্বলপুর গ্রামের মৃত তাইজদ্দিন শেখের ছেলে দরিদ্র কৃষক শামজাদ শেখের (৫৫) প্রায় দেড়বিঘা জমির অর্ধ পরিপক্ক পিঁয়াজে পচন ঔষধ (আগাছা নাশক) ছিটিয়ে নষ্ট করার অভিযোগ পাওয়া গেছে স্থানীয় এক যুবকের বিরুদ্ধে।

ভুক্তভোগী ওই কৃষক শামজাদ এ  বিষয়ে বৃহস্পতিবার গোয়ালন্দ ঘাট থানা, উপজেলা নির্বাহী অফিস ও কৃষি কর্মকর্তা বরাবর ওই যুবকের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেছেন। অভিযুক্ত ওই যুবক আব্দুস ছাত্তার শেখ (৪০) একই এলাকার গেদা শেখের ছেলে। শুক্রবার ওই চাষির কৃষি জমিতে গিয়ে দেখা যায়, আগাছা নাশক তরল ঔষধ স্প্রে করায় অর্ধ পরিপক্ব পিঁয়াজের গাছগুলো পচন ধরে শুকিয়ে সম্পুর্ন ক্ষেত সাদা হয়ে গেছে। ভুক্তভোগী দরিদ্র কৃষক শামজাদ শেখ ক্ষেতের মধ্যে আহাজারি করছেন। পাশ্ববর্তী কৃষকরা তাকে শান্তনা দিচ্ছেন। এ সময় শামজাদ শেখ জানান, মাস কয়েক আগে আমার ধানের জমি থেকে ওই ছাত্তার পানি কেটে নেয়াকে কেন্দ্র করে তার সাথে আমার  দ্বন্দ্ব চলে আসছিলো। ওই ঘটনার জের ধরে সে সপ্তাহ খানেক আগে এই আধাপাকা দেড় বিঘা পিঁয়াজ ও রসুন ক্ষেতে ঘাস মারা ঔষধ দিয়ে নষ্ট করে দিয়েছে। এতে আমার সারে ৩ থেকে ৪ লক্ষ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। গ্রামের লোকজন শালিশ বিচার করে তাকে ৩ লাক্ষ টাকা জরিমানা করেছে। সে জরিমানা নাদিয়ে শালিশ বৈঠক থেকে কৌশলে পালিয়ে গিয়ে উল্টো আমাকে মারপিটের হুমকি দিচ্ছে। নিরূপায় হয়ে আমি থানা পুলিশ ও প্রশাসনের কাছে অভিযোগ করেছি। আমি এই ক্ষতিসহ ওর উপযুক্ত বিচার চাই। স্থানীয় কৃষক রমজান আলী, কালাম শেখ, জসিম শেখসহ একাধিক ব্যক্তি জানান, ছাত্তার খারাপ প্রকৃতির লোক। এর আগেও এক কৃষকের উচ্ছে ক্ষেতে ঔষধ ছিটিয়ে নষ্ট করেছিলো। আবার এই পিয়াজ ক্ষেত নষ্ট করেছে। সে কোন শালিশ বিচার মানেনা। অভিযুক্ত ছাত্তারকে পাওয়া যায়নি। তবে তার বৃদ্ধ পিতা গেদাই শেখ বলেন, আমার ছেলে একাজ করে নাই। শালিশ বিচার হয়েছে কিনা তাও আমি জানি না।

গোয়ালন্দ ঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাকিবুল ইসলাম জানান, অভিযোগের সত্যতা ক্ষতিয়ে দেখে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাহিদুর রহমান  বলেন, ওই কৃষকের অভিযোগটি তদন্তের জন্য উপজেলা কৃষি অফিসারকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তিনি তদন্ত রিপোর্ট দেয়ার পর পরবর্তী সিন্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।