পাংশায় পদ্মার চর থেকে অবৈধভাবে বালু লুট !
- আপডেট সময় : ০৬:৫০:০০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ জানুয়ারী ২০২৫
- / ৬৯ বার পড়া হয়েছে
রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার হাবাসপুর ইউনিয়নের সাহাপাড়া ঘাট, চরপাড়া ও শাহামীরপুর এলাকায় পদ্মা নদীর চর থেকে অবাধে চলছে মাটি-বালু লুট।
প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে রাতের বেলা বিভিন্ন উপায়ে মাটি ও বালু কাটছে একটি চক্র। চক্রটির মূলহোতা ইউনিয়ন বিএনপির প্রভাবশালী ২ নেতা। বিএনপির রাজনিতিতে গ্রুপিং থাকলেও বালি মাটি কাটাতে নেই কোন গ্রুপিং তারা মিলেমিশেই করে যাচ্ছেন এসব।
জানা গেছে, প্রশাসনের অনুমোদন না থাকলেও ওপর মহলকে ম্যানেজ করে পদ্মার চর থেকে মাটি ও বালু উত্তোলন চলছে। বালি উত্তোলন কারীরা এলাকার প্রভাবশালী হওয়ায় পদ্মা পাড়ের বাসিন্দা ও স্থানীয় কৃষকরা ভয়ে মুখ খুলতে সাহস পায় না। দিনের বেলা সেখানে কাউকেই দেখা যায় না, সূর্য ডোবার সাথে সাথেই চলে মহোৎস। বিভিন্ন জায়গা থেকে ড্রাম ট্রাক, টলি, এনে রাখা হয় এসব এলাকায়। অন্ধকার হলেই শুরু হয় বালু উত্তোলন। বালু ও মাটি ভর্তি ট্রাক গুলো নির্ধারিত জায়গায় বালু ও মাটি পৌঁছে দেয়।
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, মাটি ও বালুবাহী ট্রাক চলাচল করার জন্য চরের মধ্যে লোহার পাত বসিয়ে রাস্তা করা হয়েছে। অবাধে বালু উত্তোলন করায় ধুলোবালিতে ওই এলাকার মানুষ ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। এভাবে বালু উত্তোলন করা হলে বর্ষাকালে পদ্মা নদীতে ভাঙনের আশঙ্কা থাকে দ্বিগুণ। শত শত বিঘা ফসলি জমিও পড়তে পারে হুমকির মুখে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কৃষক বলেন, সন্ধ্যার পর থেকে চলে ভেকু দিয়ে বালু ও মাটি কাটার কাজ। দিনের বেলা ওই ভেকু আড়াল করে রাখা হয়। দেখেন আখ ক্ষেত্রেত পাশে ভেকু রাখা আছে ওই এলাকায় চরের মধ্যে গিয়ে ওই কৃষককের কথার সত্যতা পাওয়া যায় দেখাযায় বালি উত্তোলনের জন্য রেখে দেওয়া হয়েছে ভেকু ম্যাশিন। ওই কৃষক অকপটে বলেন এ বালি উত্তোলন করছেন স্থানীয় বিএনপির ২ নেতার প্রভাবে তারা একই দল করেন তবে আলাদা পৃথক পৃথক গ্রুপে, তবে এখানে কোন গ্রুপিং নেই বালি উত্তোলেনর সময় সবাই এক।
স্থানীয় একাধিক বাসিন্দা আলম শেখ বলেন-রাতের বেলায় শত শত গাড়ী আসে বালি নিয়ে যায় আমরা গাড়ীর শব্দে ঘুমাতে পারি না, মাঝে মধ্যে পুলিশও আসে তবে বালি কাটা আলাদের কিছু হয় না। তারা সব ম্যানেজ করেই করে মনে হয়। বিগত দিনেও বালি কাটা হতো এখনও কাটা হয় পার্থক্য কোথায় খুজে পাচ্ছি না।
স্থানীয়রা বলেন-প্রশাসনের নিরবতায় নির্রভয়ে রাতে বালু চুরি করে বিক্রি করে কতিপয় বিএনপি নামধারী নেতারা লাখ লাখ টাকা কামিয়ে নিয়েছেন, প্রায় ১ মাস ধরে নিয়মিত ভাবে বালি মাটি কেটে বিক্রি করা হলেও প্রশাসনের নেই কোন হস্তক্ষেপ।
পদ্মার চর থেকে ভেকু দিয়ে মাটি ও বালু উত্তোলনকারীরা জানান, আমরা সবাইকে ম্যানেজ করেই করছি।