5:51 pm, Thursday, 10 April 2025

পাংশায় বিএনপি’র দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, অন্তত ১২ জন আহত

রাজবাড়ীর পাংশায় বিএনপি’র দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের অন্তত ১২ জন আহত হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার হাবাসপুর ইউনিয়নের হাবাসপুর বাজার এলাকায়।

সংঘর্ষে আহতরা হলেন, হাবাসপুর গ্রামের মৃত শহর আলী প্রামানিকের ছেলে আ: মান্নান প্রামানিক, শামসুদ্দিন শেখের ছেলে মো: দুলাল উদ্দিন শেখ, ময়েজ উদ্দিন শেখের ছেলে মো: নিজাম উদ্দিন, মৃত আবুল হোসেন প্রামানিকের ছেলে নজরুল ইসলাম, মৃত আ: ওহাবের ছেলে মো: রফিক, আয়েনদ্দিন শেখের ছেলে মো: হাসেম শেখ, চরপাড়া গ্রামের হালিম খানের ছেলে রবিউল ইসলাম খান, আ: হাই খানের ছেলে রাকিবুল ইসলাম, আ: লতিফ প্রামানিক ও হাসিদুল ইসলাম।

জানা যায়, সোমবার সন্ধ্যায় হাবাসপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আ: মান্নান প্রামানিক তার লোকজনদের নিয়ে হাবাসপুর বাজারে বিএনপির কার্যালয়ের সামনে প্রতিদিনের ন্যায় অবস্থান করছিলেন। এ সময় হাবাসপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান বিএনপি নেতা আ: লতিফ খানের নেতৃত্বে চরপাড়া মোড় থেকে একটি মিছিল বের হয়ে হাবাসপুর বাজার এলাকায় পৌঁছায়। এসময় মিছিলে থাকা লোকজন ও ইউনিয়ন বিএনপির কার্যালয়ের সামনে থাকা লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।

এ ব্যাপারে হাবাসপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আ: মান্নান প্রামানিক বলেন, আমি সহ আমার দলের নেতাকর্মীরা সন্ধ্যায় হাবাসপুর ইউনিয়ন বিএনপির কার্যালয়ে প্রতিদিনের ন্যায় অবস্থান করি। এসময় আ: লতিফ খানের নেতৃত্বে একটি মিছিল এসে আমাদের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। হামলার ঘটনায় আমি সহ ৭ জন আহত হই। তিনি আরো বলেন, ৫ আগস্টের পর যারা গা ঢাকা দিয়েছিল আ: লতিফ খান পুনরায় তাদেরকে নিয়ে আজ এই পরিকল্পিত হামলা চালিয়েছে। আমি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। হামলার ঘটনায় থানায় মামলা করবেন কিনা এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, আমাদের দলের সিনিয়র নেতাকর্মীদের সাথে কথা বলে পরবর্তী প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

সংঘর্ষে আহত অপর পক্ষের রবিউল ইসলাম খান বলেন, আমরা আ: লতিফ খানের নেতৃত্বে চরপাড়া মোড় থেকে একটি মিছিল বের করে হাবাসপুর বাজারে পৌঁছালে বিএনপির অফিসে থাকা লোকজন আমাদের উপর লাঠিসোঠা নিয়ে হামলা চালায়। এসময় আমার মাথায় আঘাত করলে আমি গুরুতর রক্তাক্ত জখম হই। হামলায় আমি সহ ৫জন আহত হয়েছি।

উভয় পক্ষের সংঘর্ষে গুরুতর আহতরা বর্তমানে পাংশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। বাকিরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। হাবাসপুরে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষের খবর পেয়ে উপজেলা বিএনপি, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবকদল ও ছাত্রদলের উভয় পক্ষের নেতাকর্মীরা আহতদের দেখতে হাসপাতালে উপস্থিত হন। এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানান তারা।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Popular Post

‘মানুষ একটা ভাল নির্বাচনের জন্য অপেক্ষায় আছে’ -আলী নেওয়াজ মাহমুদ খৈয়াম

পাংশায় বিএনপি’র দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, অন্তত ১২ জন আহত

Update Time : 07:39:23 pm, Monday, 21 October 2024

রাজবাড়ীর পাংশায় বিএনপি’র দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের অন্তত ১২ জন আহত হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার হাবাসপুর ইউনিয়নের হাবাসপুর বাজার এলাকায়।

সংঘর্ষে আহতরা হলেন, হাবাসপুর গ্রামের মৃত শহর আলী প্রামানিকের ছেলে আ: মান্নান প্রামানিক, শামসুদ্দিন শেখের ছেলে মো: দুলাল উদ্দিন শেখ, ময়েজ উদ্দিন শেখের ছেলে মো: নিজাম উদ্দিন, মৃত আবুল হোসেন প্রামানিকের ছেলে নজরুল ইসলাম, মৃত আ: ওহাবের ছেলে মো: রফিক, আয়েনদ্দিন শেখের ছেলে মো: হাসেম শেখ, চরপাড়া গ্রামের হালিম খানের ছেলে রবিউল ইসলাম খান, আ: হাই খানের ছেলে রাকিবুল ইসলাম, আ: লতিফ প্রামানিক ও হাসিদুল ইসলাম।

জানা যায়, সোমবার সন্ধ্যায় হাবাসপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আ: মান্নান প্রামানিক তার লোকজনদের নিয়ে হাবাসপুর বাজারে বিএনপির কার্যালয়ের সামনে প্রতিদিনের ন্যায় অবস্থান করছিলেন। এ সময় হাবাসপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান বিএনপি নেতা আ: লতিফ খানের নেতৃত্বে চরপাড়া মোড় থেকে একটি মিছিল বের হয়ে হাবাসপুর বাজার এলাকায় পৌঁছায়। এসময় মিছিলে থাকা লোকজন ও ইউনিয়ন বিএনপির কার্যালয়ের সামনে থাকা লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।

এ ব্যাপারে হাবাসপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আ: মান্নান প্রামানিক বলেন, আমি সহ আমার দলের নেতাকর্মীরা সন্ধ্যায় হাবাসপুর ইউনিয়ন বিএনপির কার্যালয়ে প্রতিদিনের ন্যায় অবস্থান করি। এসময় আ: লতিফ খানের নেতৃত্বে একটি মিছিল এসে আমাদের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। হামলার ঘটনায় আমি সহ ৭ জন আহত হই। তিনি আরো বলেন, ৫ আগস্টের পর যারা গা ঢাকা দিয়েছিল আ: লতিফ খান পুনরায় তাদেরকে নিয়ে আজ এই পরিকল্পিত হামলা চালিয়েছে। আমি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। হামলার ঘটনায় থানায় মামলা করবেন কিনা এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, আমাদের দলের সিনিয়র নেতাকর্মীদের সাথে কথা বলে পরবর্তী প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

সংঘর্ষে আহত অপর পক্ষের রবিউল ইসলাম খান বলেন, আমরা আ: লতিফ খানের নেতৃত্বে চরপাড়া মোড় থেকে একটি মিছিল বের করে হাবাসপুর বাজারে পৌঁছালে বিএনপির অফিসে থাকা লোকজন আমাদের উপর লাঠিসোঠা নিয়ে হামলা চালায়। এসময় আমার মাথায় আঘাত করলে আমি গুরুতর রক্তাক্ত জখম হই। হামলায় আমি সহ ৫জন আহত হয়েছি।

উভয় পক্ষের সংঘর্ষে গুরুতর আহতরা বর্তমানে পাংশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। বাকিরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। হাবাসপুরে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষের খবর পেয়ে উপজেলা বিএনপি, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবকদল ও ছাত্রদলের উভয় পক্ষের নেতাকর্মীরা আহতদের দেখতে হাসপাতালে উপস্থিত হন। এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানান তারা।