বালিয়াকান্দিতে আওয়ামী লীগের ১০ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা
- আপডেট সময় : ১১:৫৯:০৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২৪
- / ৯৭ বার পড়া হয়েছে
বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবীতে মানববন্ধন ও আলোচনা সভায় হামলার অভিযোগে রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দিতে আওয়ামী লীগের ১০ জন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে।
বালিয়াকান্দি থানায় বুধবার বিকেলে মামলাটি দায়ের করেছেন বালিয়াকান্দি সদর ইউনিয়নের বালিয়াকান্দি গ্রামের মৃত নাদেরুজ্জামানের ছেলে আব্দুর রাজ্জাক। মামলার আসামীরা হলো, বালিয়াকান্দি তালপট্রির মৃত আবুল বসারের ছেলে ও উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মন্টু, মোকলেছ মিয়ার ছেলে ও উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল, মৃত রহমত মিয়ার ছেলে ও বালিয়াকান্দি বাজার বণিক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক বদরুল, আবুল হোসেনের ছেলে ও বালিয়াকান্দি উপজেলা কৃষকলীগের সদস্য সচিব তোফাজ্জেল হোসেন মিঠু, সদর ইউনিয়নের পাইককান্দি গ্রামের মৃত ইয়াদ আলীর ছেলে ও বালিয়াকান্দি সদর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান নায়েব আলী, তালপট্টির মৃত চাঁদ আলী শেখের চাউল সেলিম, দুবলাবাড়ীয়া গ্রামের মৃত কফিল উদ্দিনের ছেলে ছলেমান, সোনারমোড়া ভীমনগর গ্রামের ইসলাম বিশ্বাসের ছেলে ইমরান বিশ্বাস, জামালপুর গ্রামের মৃত মোকছেদ সরদারের ছেলে ও জামালপুর উনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ইউনুছ আলী সরদার, বালিয়াকান্দি গ্রামের মৃত আবু ফকিরের ছেলে ও উপজেলা শ্রমিকলীগের সভাপতি ইদ্রিস ফকির সহ অজ্ঞাতনামা ৭০-৮০ জন।
মামলার বাদী আব্দুর রাজ্জাক অভিযোগে বলেন, তিনি বালিয়াকান্দি সদর ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ড কৃষকদলের সভাপতি। গত ২০২৩ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর বালিয়াকান্দি থানার মনি মুকুট কিন্ডার গার্ডেন স্কুলের সামনে বালিয়াকান্দি ৬ নং ওয়ার্ডের সকল বিএনপি সদস্য এবং অন্যান্য ইউনিয়নের বিএনপির নেতাকর্মীরা সমবেত হয়। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবীতে মানববন্ধন ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। মানববন্ধন ও সভা শান্তিপূর্ণ ভাবে পালন করাকালে সকাল ১১ টার সময় আসামীরাসহ অজ্ঞাতনামা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও কৃষকলীগের সন্ত্রাসীরা উপজেলা আওয়ামীলীগের নেতৃত্বে ও হুকুমে ইট, পাটকেলসহ ককটেল নিক্ষেপ করে। তারা ২-৩ টি ককটেল বিস্ফোণ ঘটায়। এতে উপস্থিত নেতাকর্মীরা এদিক সেদিক ছুটা ছুটি করে। এ সুযোগে আসামীরা তাদের হাতে থাকা বাশের লাঠি, হকিস্টিক, লোহার রড দিয়ে বিএনপি যুবদলের সদস্য সচিব কামরুল, ফারুক, বাবলু, মাসুদ, চুন্নুদের এলোপাথাড়ীভাবে পিটিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে মারপিট করে। তাদের মারপিট ফেরানোর জন্য এগিয়ে গেলে আমার মাথা, মুখে ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে বেধড়ক মারধর করে নিলাফোলা ও রক্তাক্ত জখম করে। তাৎক্ষণিকভাবে চিকিৎসার জন্য বালিয়াকান্দি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করেন। হাসপাতালে সাত দিন চিকিৎসাধীন ছিলাম। আমিসহ নেতাকর্মীরা চিকিৎসা গ্রহণ শেষে থানায় মামলা দায়ের করার চেষ্টা করলে আওয়ামীলীগের নেতা কর্মীদের কারণে থানায় মামলা করতে পারিনি। এখন পরিস্থিতি ভালো হওয়ায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
বালিয়াকান্দি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ জামাল উদ্দিন মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আসামী গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।