রাজবাড়ী জেলা ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সম্মেলন অনুষ্ঠিত
- আপডেট সময় : ১২:৫৪:৫১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২৫
- / ৩৩ বার পড়া হয়েছে
রাজবাড়ীতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের জেলা সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টায় রাজবাড়ী পৌরসভার রজনীগন্ধা অডিটোরিয়ামে জেলা সভাপতি মুফতী শামসুল হুদার সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মাদ জাহিদুল ইসলামের সঞ্চালনায় এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্য প্রদান করেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুস আহমাদ। বিশেষ অতিথির বক্তব্য প্রদান করেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় দফতর সম্পাদক মাওলানা লোকমান হোসেন জাফরী। আরো উপস্থিত ছিলেন, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় শুরা সদস্য মুহাঃ আব্দুর রহিম আল মাহমুদ সুমন, ইসলামী আন্দোলনের জেলা সহ-সভাপতি মুফতী গোলাম কবির মাসুম, মাওলালানা আশরাফুল ইসলাম, জেলা সেক্রেটারি মুহাঃ জাহিদুল ইসলাম, জয়েন্ট সেক্রেটারি মুহাম্মাদ আরিফুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক হাফেজ মুহাম্মাদ সাব্বির হুসাইন, ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের জেলা সভাপতি মুহাঃ আবু রায়হান গিফারী, সাধারণ সম্পাদক মুহাঃ আব্দুল আলিম, ইসলামী যুব আন্দোলনের সভাপতি মাওঃ রফিকুল ইসলাম মিলন, ইসলামী শ্রমিক আন্দোলনের সভাপতি মাওঃ মুস্তাফিজুর রহমান সেলিম সহ জেলা ও থানা নেতৃবৃন্দ।
পরে ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশের সংগ্রামী মহাসচিব রাজবাড়ী জেলা শাখার নতুন কমিটি ঘোষণা করেন। সভাপতি মুফতি শামছুল হুদা, সহ -সভাপতি মুফতি গোলাম কবির মাসুম, সেক্রেটারি আরিফুল ইসলাম, জয়েন্ট সেক্রেটারি হাফেজ সাব্বির হোসাইন।
প্রধান অতিথি ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব ইউনুছ আহমাদ বলেছেন, জুলাই বিপ্লবের পরে দেশে আর কোনো কালো অধ্যায় তৈরি যাতে না হয় সেজন্য কার্যকর সংস্কার সম্পন্ন করতে হবে। জুলাই বিপ্লব পরবর্তী দেশের মানুষ দলীয় পরিচয়ে নয়, বরং সব সরকারি ও বেসরকারি অফিস, আদালত, হসপিটালে নাগরিক হিসেবে ন্যায্য অধিকার নিয়ে বাঁচতে চায়।স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেছেন দেশে ছিনতাই চাঁদাবাজিসহ অপরাধ হচ্ছে, অপরাধীরা গ্রেফতার হচ্ছে, আবার বের হয়ে এসে অপরাধে জড়িত হচ্ছে। পুলিশের কাজ এখনো গতিহীন, তারা উদ্যম হারিয়েছে এমন সংবাদে জনমনে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে। মানুষ নিজেদের নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তিত।
তিঁনি বিশেষ অতিথি ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় দফতর সম্পাদক মাওলানা লোকমান হোসেন জাফরী বলেন, দলীয় সরকারের অধীনে কাঙ্ক্ষিত রাষ্ট্র সংস্কারও অসম্ভব হবে বলে জনগণ মনে করে। রাষ্ট্র গঠনে দেশের প্রত্যেকটি মানুষের মতামত বা ভোটের মূল্য রয়েছে। মানুষের ভোটের যথাযথ মূল্য পিআর পদ্ধতির নির্বাচনের মাধ্যমে দেওয়া সম্ভব। উচ্চকক্ষ আর নি¤œকক্ষ যাই হোক পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন হলে দেশ থেকে দুর্নীতি, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি ও সিন্ডিকেট দূর হবে। অর্থনৈতিকভাবে বাংলাদেশ সমৃদ্ধশালী হবে। সব ক্ষেত্রে স্থিতিশীলতা আসবে। আগামীতে পিআর পদ্ধতির নির্বাচন আয়োজনে দেশের জনগণ প্রয়োজনে রাজপথে আন্দোলনে নামতে বাধ্য হবে।