কালুখালীর কদম আলীকে হত্যা করা হয়েছে দাবী পরিবারের
- আপডেট সময় : ০৮:১৩:৪৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২৪
- / ৫৩ বার পড়া হয়েছে
রাজবাড়ীর কালুখালী উপজেলার কালিকাপুর ইউনিয়নের হরিণবাড়ীয়া গ্রামের কদম আলী একজন সহজ সড়ল প্রকৃতির লোক। কৃষি কাজই তার প্রধান পেশা, ৩টি কণ্যা ও এক ছেলের পিতা তিনি। ৯ ডিসেম্বর বাড়ী থেকে বাজারে গিয়েছিল শাক সবজি বিক্রি করতে ফিরতে হয়েছে লাশ হয়ে।
এ ঘটনায় কালুখালী থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। এ দিকে এ ঘটনায় বিচার দাবী করে রাজবাড়ীর আদালতে একটি মামলা দায়ের করেছে নিহত কদম আলীর স্ত্রী কাকলী খাতুন। মামলার এজাহারে নিজের মেয়ের স্বামী শশুড়কে আসামী করা হয়েছে। মামলার আসামী করা হয়েছে আলমীর শেখ,আবুল হোসেন শেখ,জাহাঙ্গীর শেখ,সাকিল শেখ,রাসেল মোল্লা,পলাশ ফকিরসহ অজ্ঞাত ৭-৮ জনের বিরুদ্ধে।
মামলার এজহারে উল্লেখ্য করা হয়েছে কৃষক কদম আলী নিজের উৎপাদিত পূন্য বিক্রিয় করার জন্য হড়িন বাড়িয়া বাজারে যান তার পন্য বিক্রি শেষে বাড়ী ফেরার সময় রাত আনুমানিক ১০ টার দিকে নারানদিয়া মাঠের মধ্যে মন্টুর রসুন ক্ষেতে পূর্বে থেকে ওৎ পেতে থাকা উপরক্ত আসামীরা কৃষক কদম আলীর গায়ের জ্যাকেট খুলে তার গলায় ফাস লাগিয়ে হত্যা করেছে। এ ঘটনার আগেও ওই আসামীদের বিরুদ্ধে নারী শিশু নির্যাতন-হুমকি প্রর্দশনের জন্য ৭ ধারার মামলাসহ একাধিক মামলা চলমান রয়েছে বলে কৃষক কদম আলী স্ত্রী কাকলি খাতুন জানান। তিনি আরো বলেন-আমরা গরীব মানুষ তাই বিচার পাচ্ছি না, থানায় মামলা নেই নি। কোর্টে মামলা করেছি, সেনা ক্যাম্পে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। আমি আমার স্বামী হত্যার বিচার চাই। কৃষক কদম আলী মেয়ে আসমা খাতুন বলেন-বাবাকে হারিয়ে আমরা দিশেহারা আমার বাবা একজন সহজ প্রকৃতির লোক ছিল তাকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করা হয়েছে আমি আমার পিতা হত্যার বিচার চাই। আমরা অসহায় দরিদ্র মানুষ তাই আমাদের পক্ষে কেউ নেই আমরা সঠিক বিচার থেকে বঞ্চিত হচ্ছি। এ ঘটনার পর আসামীরা সকলেই এলাকা থেকে পালিয়ে রয়েছে এখনও কোন আসামী গ্রেফতার না হওয়ায় আমরা শংস্কিত।
এ ব্যাপারে কালুখালী থানার অফিসার ইনচার্জ বলেন- কদম আলীকে হত্যা করা হয়েছে কিনা ময়নাতদন্তের রির্পোট আসলেই জানা যাবে। প্রাথমিক ভাবে এটা একটি অপমৃত্যু মামলা নেওয়া হয়েছে।