রাজবাড়ীতে বিএনপি’র এক গ্রুপের সভায় আরেক গ্রুপের হামলা, আহত ১০
- আপডেট সময় : ০৭:০০:০৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
- / ১৮৪ বার পড়া হয়েছে
রাজবাড়ীতে সন্ত্রাস-নৈরাজ্য সৃষ্টির প্রতিবাদে ডাকা বিএনপি’র একটি গ্রুপের প্রতিবাদ সভায় আরেক গ্রুপের হামলার অভিযোগ উঠেছে। এতে দোকান, মোটরসাইকেল, চেয়ার, মাইক ভাংচুর করাসহ মারধরে অন্তত ১০জন আহত হয়েছে।
আহতদের মধ্যে কামরুল শেখ (৩৮), শামীম (২৪) ও আরাফাত ইসলাম রাফি (১৮) সহ ৩জনকে রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজবাড়ী সদর উপজেলার চন্দনী বাসস্ট্যান্ড বাজারে চন্দনী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান বিএনপি নেতা একেএম সিরাজুল আলম চৌধুরীর নেতৃত্বে প্রতিবাদ সভা চলাকালে এ হামলার ঘটনা ঘটে। তাদের দাবি অপর গ্রুপের নেতা চন্দনী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মালেক শিকদারের অনুসারীরা এ হামলা চালায়।
সভায় অংশ নেয়া নেতা-কর্র্মীরা জানান, গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ছাড়ার পর রাজবাড়ী সদর উপজেলার চন্দনী ইউনিয়নে প্রায় অর্ধ শতাধিক বাড়ী, দোকান, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা-ভাংচুর, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ ও চাঁদাবাজির ঘটনা ঘটে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে সন্ত্রাস-নৈরাজ্যের প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার বিকেলে চন্দনী ইউনিয়ন বিএনপি ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্রদের আয়োজনে প্রতিবাদ সভা ও শান্তি সমাবেশের আয়োজন করা হয়। বিক্ষোভ মিছিল শেষে বক্তব্য চলাকালে ২০-২৫টি মোটরসাইকেলে দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে হামলা চালায় বিএনপি’র অপর একটি গ্রুপ।
হামলায় টুকুর হোটেল, সভার চেয়ার, মাইক, ১০-১৫টি মোটরসাইকেল ভাংচুর করাসহ লোকজনকে মারধর করে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে। খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
তাৎক্ষনিক হামলার প্রতিবাদে বক্তব্যে রাখেন, রাজবাড়ী জেলা কৃষকদলের সদস্য সচিব একেএম সিরাজুল আলম চৌধুরী, উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক রফিকুল ইসলাম, চন্দনী ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ডা. শাহীন, চন্দনী বাজার বণিক সমিতির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ইসহাক ফকির সহ অন্যান্যরা। পরে সন্ত্রাস-নৈরাজ্য সৃষ্টিকারীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবীতে বিক্ষোভ মিছিল করে।
রাজবাড়ী জেলা কৃষকদলের সদস্য সচিব একেএম সিরাজুল আলম চৌধুরী বলেন, রাজবাড়ী সদর উপজেলার চন্দনী ইউনিয়নে প্রায় অর্ধ শতাধিক বাড়ী, দোকান, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা-ভাংচুর, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ ও চাঁদাবাজির ঘটনা ঘটে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে এলাকায় শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র ও চন্দনী ইউনিয়ন বিএনপির আয়োজনে শান্তিপূর্ণ সভা আহবান করা হয়। আমি বক্তব্যে প্রদানকালে দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে ২০-২৫টি মোটরসাইকেলে এসে হামলা, ভাংচুর, মারধর করে চলে যায়। এতে বৈষম্য বিরোধী ছাত্রসহ বিএনপির অন্তত ১০জন নেতাকর্মীরা আহত হয়েছে। কয়েকজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
রাজবাড়ী সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ইফতে খারুল আলম প্রধান বলেন, এখন পর্যন্ত কেউ থানায় আসেনি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।