গোয়ালন্দে সুশীল হত্যাকান্ডে ৪জন গ্রেপ্তার, আদালতে স্বীকারোক্তি
- আপডেট সময় : ০৭:০৮:০১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ অক্টোবর ২০২৪
- / ১৩২৭ বার পড়া হয়েছে
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার কাটাখালী এলাকার চাঞ্চল্যকর চরমপন্থী নেতা সুশীল হত্যাকান্ডের ঘটনায় জড়িত এখন পর্যন্ত ৪জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃত একাধিক আসামী আদালতে হত্যাকান্ডি জড়িত থাকার ব্যাপারে স্বীকারোক্তি দিয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
থানা পুলিশ সূত্র জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে ঠাকুরগাঁয়ের দুর্গম এলাকায় অভিযান চালিয়ে চরমপন্থী দলের সদস্য এবং সুশীল হত্যাকান্ডে জড়িত দুই জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা হলো, গোয়ালন্দ উপজেলার ছোটভাকলা ইউনিয়নের কেউটিল গ্রামের আ. সালাম শেখের ছেলে তোফাজ্জেল শেখ ওরফে তোহা (৩৮) এবং একই গ্রামের মৃত মজিবর শেখের ছেলে লোকমান শেখ (৩৫) । তারা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।
এর আগে ২৭ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলার দেবগ্রাম ইউনিয়নের বিএনপি’র বটতলা এলাকা থেকে সন্দেহভাজন আসামী মো. আশিকুল শেখ ওরফে ভাষাণ শেখ (২৮) কে গ্রেপ্তার করা হয়। সে উপজেলার উত্তর চর পাঁচুরিয়া গ্রামের আব্দুল জব্বার শেখের ছেলে। এ ছাড়া গত ২৪ সেপ্টেম্বর বরাট বাজার এলাকা থেকে জনি মোল্লা (৩৪) নামের আরেক জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। সে উপজেলার ছোটভাকলা ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের কাঁচরন্দ গ্রামের কালাম মোল্লার ছেলে।
উল্লেখ্য গত ২২ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার টার দিকে স্থানীয় কাটাখালী বাজারে চরমপন্থী সর্বহারা পার্টির নেতা সুশীল কুমার সরকার (৫৮) কে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে ও গুলি করে মৃত্যু নিশ্চিত করে বীরদর্পে চলে যায় অজ্ঞত সন্ত্রাসীরা। পরে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষনা করে। তিনি গোয়ালন্দ উপজেলার ছোটভাকলা ইউনিয়নের হাউলি কেউটিল গ্রামের মৃত মনি সরকারের ছেলে। নিহত সুশীল রায়ের বিরুদ্ধে তিনটি অস্ত্র ও দুটি হত্যা মামলা রয়েছে।
গোয়ালন্দ ঘাট থানার ওসি মোহম্মদ রাকিবুল ইসলাম জানান, ঘটনার পরদিন গত ২৩ সেপ্টেম্বর তারিখে অজ্ঞাত ব্যাক্তিদের আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের হয়। এরপর থেকে হত্যার রহস্য উদঘাটনে পুলিশ মাঠে নামে। এরই ধারাবাহিকতায় সন্দেহভাজন হিসেবে ৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।