বাদীর স্ত্রী, স্বাক্ষী কিছুই জানেন না, অথচ চেয়ারম্যান ১ নং আসামী!
- আপডেট সময় : ১২:৪০:৩৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৪
- / ৭৫ বার পড়া হয়েছে
রাজবাড়ীর পাংশায় পূর্ব শ্রুতার জের ধরে পাট্টা ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বিএনপি নেতা মোঃ আকিদুল ইসলামকে প্রধান আসামী করে ৯ জনের নাম উল্লেখ্য করে রাজবাড়ীর আদালতে একটি চাঁদাবাজী মামলা করেছে এস এম শহিদুল ইসলাম আলম। শহিদুল ইসলাম আলম পাট্টা ইউনিয়নের উত্তর বিশ্বাস মাজাইল গ্রামের আজিজুল ইসলামের ছেলে।
এ দিকে শহিদুল ইসলাম আলম মিয়া বাদী হয়ে বিএনপি নেতা পাট্টা ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মোঃ আকিদুল ইসলাম, পাট্টা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাসুম বিশ্বাস, বাহের মোড় বাজার বনিক সমিতির সভাপতি সিরাজ বিশ্বাস, বিদার বিশ্বাস, তিতাল মন্ডল, অন্তর, মুক্তি, মিন্টু, ও আব্দুল লতিফ মন্ডলের নামে রাজবাড়ীর আমলী আদালতে ১২ নভেম্বর একটি চাদাবাজীর মামলা করেছে। মামলার ধারা ১৪৩/৩২৩/৩৮৫/৩৮৭/৫০৬/৩৭৯/৩২৫/৩০৭ পেনাল কোড। এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার সরেজমিনে ঘটনাটি জানতে শহিদুল ইসলাম আলম মিয়ার বাড়ীতে গিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি। এ বিষয়ে তার স্ত্রী শারমিন আক্তার বলেন, এমন কোন চাঁদাবাজীর ঘটনা এই লোকজন করেনি যাদের নাম রয়েছে।
মামলার ০১ নং স্বাক্ষী ভ্যান চালক মোকারম হোসেন অরফে মোকা বলেন, এমন কোন ঘটনা আমার জানা নেই, কয়েকদিন আগে সন্ধ্যার দিকে আমার ভ্যানে আলম মিয়া বাহের মোড় থেকে বাড়ী যাওয়ার পথে আধার কোটা পৌছালে পিছন থেকে আমাকে ভ্যান দাড় করাতে বললে ভ্যান থেকে আলম মিয়া দৌড়ে নেমে চলে যায়, পড়ে গিয়ে তার হাত ভেঙ্গে গিয়েছে বলে শুনেছি। ভ্যানের পিছনে মোটর সাইকেলে আকিদুল চেয়ারম্যান ছিল কি না এমন প্রশ্নে তিনি বলেন- না চেয়ারম্যান ও যাদের নামে মামলার কথা শুনছি তারা কেউ ওই জায়গায় ছিল না।
পাট্টা ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও বিএনপি নেতা মোঃ আকিদুল ইসলাম বলেন, আমি যদি চাঁদাবাজি করতাম তা হলে আমার এলাকার মানুষ বলবে, আপনারা সাংবাদিকরা ওই বাড়ীতে বাদী ও তার পরিবারের সাথে কথা বলেন, যদি এমন প্রমান কেউ দিতে পারে তা হলে সকল প্রকার শাস্তিÍ মেনে নিব। প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ রইল সঠিক তদন্ত সাপেক্ষে বিচার করবেন। বিভিন্ন সময় আমার বিরুদ্ধে এই আলম মিয়া ৭টি মামলা করেছে। তার আপন বড় ভাই আবু আওয়াল মিয়ার বিরুদ্ধে ৫টি একই গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের বিরুদ্ধে ৬ টি মামলা দিয়েছে যা সম্পূর্ন মিথ্যা ছিল।