ঢাকা ১১:৩১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২৫, ১৭ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

পাংশায় ব্যাক্তি মালিকানা জমির উপর দিয়ে জোরপূর্বক রাস্তা করার অভিযোগ

মাসুদ রেজা শিশির॥
  • আপডেট সময় : ০৬:২৮:২৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ জানুয়ারী ২০২৫
  • / ৩৩৯ বার পড়া হয়েছে

বাংলাদেশ সেনা বাহিনীতে চাকুরী করেছেন দির্ঘদিন, প্রায় ৩০ বছর আগে রাজবাড়ীর পাংশা পৌর শহরের পারনারায়নপুর গ্রামে জমি ক্রয় করে টিনসেট বাড়ী বানিয়ে বসবাস করে আসছেন। সাথে ছেলে মেয়েদের পড়ালেখা করিয়েছেন। সরকারি চাকুরী শেষ করে গ্রামেই থাকছেন তিনি, শারিরীক ভাবে বেশ অসুস্থ আছেন সেনাবাহিনীর সাবেক সদস্য মোঃ রফিকুল ইসলাম।
পাংশা পৌরসভার পার নারয়নপুর গ্রামে বাড়ী করার পর মুসলিম পরিবার হিসাবে পর্দার জন্য প্রতিবেশী অপর এক মেলেটারী পরিবার উভয় পরিবার নিজেদের মত করে উঠানের উপর দিয়ে বেড়া দিয়ে বসবাস করে আসছিল দির্ঘদিন ধরে। ২ বেড়ার মাঝখানে একটু পায়ে হেটে চলাচল করার জায়গা ছিল, সে জায়গা দিয়ে পাশ্ববর্তী ২-৪ জন চলাচল করত। সেই পায়ে হাটা পথ কে কেন্দ্র করে নানা ভাবে হয়রানীর শিকার হয়েছে রফিক মেলেটারী ও তার পরিবার। এ নিয়ে প্রায় ৪/৫ বার পাংশা পৌরসভার পক্ষ থেকে জমি মাপা হয়েছে, এ জমি মাপ রফিক মেলেটারী ও তার পরিবার মানলেও অন্যরা তা মানেন না।
সম্প্রতি বাড়ী করার স্বার্থে রফিক মেলেটারীর পরিবার বাড়ীর চারপাশে দেওয়াল নির্মান কাজ করছে, এতেই বিপত্তি বেধেছে ওই এলাকার কিছু স্বার্থন্নেশী মহলসহ কয়েকজনের এ নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় রফিক মেলেটারীর পরিবারকে নিয়ে হেয় প্রতিপূন্য করার মত ঘৃনিত কাজ করা হয়েছে। ফেসবুকে উল্টাপাল্টা বলা হয়েছে যা মানহানিকর বলেও মন্তব্য করেছেন রফিকুল ইসলামের ছেলে রেজাউল করিম রানা ।
মঙ্গলবার বিকালে সরে জমিনে গিয়ে দেখাযায় রফিক মেলেটারীর বাড়ীর কাজ চলমান, সেখানে নিজেদের নিরাপত্তা ও বাড়ী বানানোর জন্য দেয়াল গাথা হচ্ছে নিজেদের জমির উপর দিয়ে, এ দেয়াল ভেঙ্গে পূনরায় রফিক মেলেটারীর উঠানের উপর দিয়ে রাস্তা নির্মাণ করতে মরিয়া হয়ে এলাকায় বিভিন্ন ভাবে অপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন একটি চিহ্নত গোষ্টি তাদের রক্ষায় স্থানীয় কতিপয় নামধারী ব্যাক্তি উঠে পড়ে লেগেছে।
বিভিন্ন সময় রফিক মেলেটারীর পরিবারের উপর হামলা ও হুমকি দিয়ে নানা ভাবে বিব্রত করার মত কাজ করে যাচ্ছে, বলেও জানিয়েছেন রানা ও তার পরিবার। রেজাউল করিম রানা বলেন-  প্রায় ৪/৫ বার আমার পরিবারের উপর হামলার চেষ্ট করা হয়েছে, আমার মায়ের সাথে র্দূব্যহার করা হয়েছে, অকথ্য ভাষায় গালাগালি করেছে, আমি এ ঘটনার জন্য একাধিক বার পাংশা পৌর সভায় গিয়েছি তারা বারবার এখানে আসছেন উভয়ের সাথে কথা বলছেন জমি মাপছেন কিন্তু তারা তা না মেনে আমার বাবার ক্রয়কৃত জমির উপর দিয়ে জোর পূর্বক রাস্তা নির্মান করার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে।
এ দিকে রফিক মেলেটারী নিরাপত্তাহীনতায় ভ’গছেন বলেও জানান, তিনি বলেন দির্ঘদিন ধরে এখানে বসবাস করার সুবাদে মানবিকতার জন্যই আমার জায়গার উপর দিয়ে চলাচল করলেও আমরা বাধা দেই নি, এখন আমি বাড়ী করব, তা ছাড়া রাস্তা দিতে হলে জমির উভয় পাশের মালিক মিলেই দিতে হবে, আমি একা আমার জমি ছেড়ে দিয়ে রাস্তা বানাতে দিতে পারি না, আমার প্রতিবেশীর জমির মধ্যেও আমার জমি রয়েছে, স্থায়ী সমাধানের জন্য আমরা একাধিক বার জমি মেপেছি কি›তু জমি বুঝে পায়নি,  উল্টো আমাদের সাথে খারাপ ব্যবহার করা হয়।
এ ব্যাপারে পাংশা পৌরসভায় কর্মরত একজন সার্ভেয়ার নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন-এ জমি অনেকবার মাপা হয়েছে প্রতিবারই রফিক মেলেটারী সঠিক স্থানেই রয়েছেন বলে প্রতিয়মান হয়, বরং তার জমি অন্যের মধ্যেও আছে কিন্তু সে তার প্রকৃত জমি বুঝে পায়নি। তবে রাস্তার বিষয় আমার তেমন কিছু জানা নেই, রফিক মেলেটারীর বাসার পাশ দিয়ে পৌরসভার নিজেস্ব কোন সড়ক নেই আমার জানা মতে।
এ ব্যাপারে পাংশা পৌর প্রশাসক ও পাংশা উপজেলা নির্বাহী অফিসার এস এম আবু দারদা বলেন- বিষয়টি আমি জানতে পারছি ব্যাক্তি জমির উপর দিয়ে জোর করে রাস্তা নির্মান করার কোন সুযোগ নেই। তবে সমঝোতায় অনেক কিছুই হতে পারে।

ট্যাগস : Rajbaribd.com

নিউজটি শেয়ার করুন

পাংশায় ব্যাক্তি মালিকানা জমির উপর দিয়ে জোরপূর্বক রাস্তা করার অভিযোগ

আপডেট সময় : ০৬:২৮:২৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ জানুয়ারী ২০২৫

বাংলাদেশ সেনা বাহিনীতে চাকুরী করেছেন দির্ঘদিন, প্রায় ৩০ বছর আগে রাজবাড়ীর পাংশা পৌর শহরের পারনারায়নপুর গ্রামে জমি ক্রয় করে টিনসেট বাড়ী বানিয়ে বসবাস করে আসছেন। সাথে ছেলে মেয়েদের পড়ালেখা করিয়েছেন। সরকারি চাকুরী শেষ করে গ্রামেই থাকছেন তিনি, শারিরীক ভাবে বেশ অসুস্থ আছেন সেনাবাহিনীর সাবেক সদস্য মোঃ রফিকুল ইসলাম।
পাংশা পৌরসভার পার নারয়নপুর গ্রামে বাড়ী করার পর মুসলিম পরিবার হিসাবে পর্দার জন্য প্রতিবেশী অপর এক মেলেটারী পরিবার উভয় পরিবার নিজেদের মত করে উঠানের উপর দিয়ে বেড়া দিয়ে বসবাস করে আসছিল দির্ঘদিন ধরে। ২ বেড়ার মাঝখানে একটু পায়ে হেটে চলাচল করার জায়গা ছিল, সে জায়গা দিয়ে পাশ্ববর্তী ২-৪ জন চলাচল করত। সেই পায়ে হাটা পথ কে কেন্দ্র করে নানা ভাবে হয়রানীর শিকার হয়েছে রফিক মেলেটারী ও তার পরিবার। এ নিয়ে প্রায় ৪/৫ বার পাংশা পৌরসভার পক্ষ থেকে জমি মাপা হয়েছে, এ জমি মাপ রফিক মেলেটারী ও তার পরিবার মানলেও অন্যরা তা মানেন না।
সম্প্রতি বাড়ী করার স্বার্থে রফিক মেলেটারীর পরিবার বাড়ীর চারপাশে দেওয়াল নির্মান কাজ করছে, এতেই বিপত্তি বেধেছে ওই এলাকার কিছু স্বার্থন্নেশী মহলসহ কয়েকজনের এ নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় রফিক মেলেটারীর পরিবারকে নিয়ে হেয় প্রতিপূন্য করার মত ঘৃনিত কাজ করা হয়েছে। ফেসবুকে উল্টাপাল্টা বলা হয়েছে যা মানহানিকর বলেও মন্তব্য করেছেন রফিকুল ইসলামের ছেলে রেজাউল করিম রানা ।
মঙ্গলবার বিকালে সরে জমিনে গিয়ে দেখাযায় রফিক মেলেটারীর বাড়ীর কাজ চলমান, সেখানে নিজেদের নিরাপত্তা ও বাড়ী বানানোর জন্য দেয়াল গাথা হচ্ছে নিজেদের জমির উপর দিয়ে, এ দেয়াল ভেঙ্গে পূনরায় রফিক মেলেটারীর উঠানের উপর দিয়ে রাস্তা নির্মাণ করতে মরিয়া হয়ে এলাকায় বিভিন্ন ভাবে অপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন একটি চিহ্নত গোষ্টি তাদের রক্ষায় স্থানীয় কতিপয় নামধারী ব্যাক্তি উঠে পড়ে লেগেছে।
বিভিন্ন সময় রফিক মেলেটারীর পরিবারের উপর হামলা ও হুমকি দিয়ে নানা ভাবে বিব্রত করার মত কাজ করে যাচ্ছে, বলেও জানিয়েছেন রানা ও তার পরিবার। রেজাউল করিম রানা বলেন-  প্রায় ৪/৫ বার আমার পরিবারের উপর হামলার চেষ্ট করা হয়েছে, আমার মায়ের সাথে র্দূব্যহার করা হয়েছে, অকথ্য ভাষায় গালাগালি করেছে, আমি এ ঘটনার জন্য একাধিক বার পাংশা পৌর সভায় গিয়েছি তারা বারবার এখানে আসছেন উভয়ের সাথে কথা বলছেন জমি মাপছেন কিন্তু তারা তা না মেনে আমার বাবার ক্রয়কৃত জমির উপর দিয়ে জোর পূর্বক রাস্তা নির্মান করার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে।
এ দিকে রফিক মেলেটারী নিরাপত্তাহীনতায় ভ’গছেন বলেও জানান, তিনি বলেন দির্ঘদিন ধরে এখানে বসবাস করার সুবাদে মানবিকতার জন্যই আমার জায়গার উপর দিয়ে চলাচল করলেও আমরা বাধা দেই নি, এখন আমি বাড়ী করব, তা ছাড়া রাস্তা দিতে হলে জমির উভয় পাশের মালিক মিলেই দিতে হবে, আমি একা আমার জমি ছেড়ে দিয়ে রাস্তা বানাতে দিতে পারি না, আমার প্রতিবেশীর জমির মধ্যেও আমার জমি রয়েছে, স্থায়ী সমাধানের জন্য আমরা একাধিক বার জমি মেপেছি কি›তু জমি বুঝে পায়নি,  উল্টো আমাদের সাথে খারাপ ব্যবহার করা হয়।
এ ব্যাপারে পাংশা পৌরসভায় কর্মরত একজন সার্ভেয়ার নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন-এ জমি অনেকবার মাপা হয়েছে প্রতিবারই রফিক মেলেটারী সঠিক স্থানেই রয়েছেন বলে প্রতিয়মান হয়, বরং তার জমি অন্যের মধ্যেও আছে কিন্তু সে তার প্রকৃত জমি বুঝে পায়নি। তবে রাস্তার বিষয় আমার তেমন কিছু জানা নেই, রফিক মেলেটারীর বাসার পাশ দিয়ে পৌরসভার নিজেস্ব কোন সড়ক নেই আমার জানা মতে।
এ ব্যাপারে পাংশা পৌর প্রশাসক ও পাংশা উপজেলা নির্বাহী অফিসার এস এম আবু দারদা বলেন- বিষয়টি আমি জানতে পারছি ব্যাক্তি জমির উপর দিয়ে জোর করে রাস্তা নির্মান করার কোন সুযোগ নেই। তবে সমঝোতায় অনেক কিছুই হতে পারে।