4:50 pm, Sunday, 20 April 2025

পাংশায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকর্মী শিক্ষককে পেটানোর অভিযোগ

রাজবাড়ীর পাংশায় স্কাউটিং কাউন্সিল নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক শিক্ষককে ডেকে নিয়ে ৬জন শিক্ষক মিলে পিটিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজবাড়ী জেলা প্রশাসক ও জেলা শিক্ষা অফিসারের নিকট লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী নির্যাতিত ১০৯ নং চরলক্ষীপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আব্দুল মালেক।
ভুক্তভোগী নির্যাতিত ১০৯ নং চরলক্ষীপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আব্দুল মালেক বলেন, পাট্রাজোনা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ খায়রুল ইসলাম গত ১3 জানুয়ারী সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার সময় ডেকে পাঠায় কাব স্কাউটিং কাউন্সিল নির্বাচনের ব্যাপারে জরুরী কথা আছে। পাংশা শহরের মালেক প্লাজার ভিতর পৌছালে পাট্রাজোনা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ খায়রুল ইসলাম, ধানুরিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোঃ শাজাহানুল হক, রুপিয়াট সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক কাজী শামসুল হক, নিশ্চিন্তপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোঃ আমিরুল ইসলাম, কসবামাজাইল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোঃ রাশেদুর রহমান, কবি নজরুল ইসলাম সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ জাকির হোসেন এলোপাথারী কিল, ঘুষি, স্কেল ও লাঠি দিয়ে আঘাত করলে প্রচন্ড আহত হন। পকেটে থাকা ৫ হাজার ২শত টাকা হাতিয়ে নেওয়াসহ জ্যাকেট ছিড়ে ফেলে। পরে মেজ ভাই আব্দুল খালেক মন্ডল উদ্ধার করে বাড়ীতে নিয়ে যায়।
তিনি আরও বলেন, প্রহারকারী শিক্ষকগণের কারণে পাংশা উপজেলায় মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা বাস্তবায়পন বাধাগ্রস্থ হচ্ছে। পাংশা উপজেলায় এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রাথমিক শিক্ষা পরিবারে হতাশা নেমে এসেছে। তিনি সকলের বিচার দাবী করেন।
অভিযুক্ত পাট্রাজোনা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ খায়রুল ইসলাম বলেন, ধাক্কাধাক্কি হয়েছে। তবে মারধর করা হয়েছে কিনা জানি না। তবে পরে বিএনপি নেতা রাজা ভাই উপস্থিত হয়ে বিষয়টি মিমাংসা করে দিয়েছেন।
অভিযুক্ত ধানুরিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোঃ শাজাহানুল হক মারধরের কথা অস্বীকার করে বলেন, বিষয়টি মিমাংসা হয়েছে। পরে আমরা একসাথে অনুষ্ঠানে খাওয়া-দাওয়া করেছি।
রুপিয়াট সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক কাজী শামসুল হক ঘটনাস্থলে ছিলেন না বলে দাবী করেন।
নিশ্চিন্তপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোঃ আমিরুল ইসলাম বলেন, ওখানে মারামারি হয়নি, আগের বিরোধ ছিল, তাই মিমাংসা করে দিয়েছেন রাজা মামা।
কসবামাজাইল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোঃ রাশেদুর রহমান বলেন, আমি প্রতিদিনই স্কুল শেষে পাংশা শহরে ঘুরতে যাই। ওখানে মালেক ভাই উত্তেজিত হলে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।
কবি নজরুল ইসলাম সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ জাকির হোসেন বলেন, গত ১৩ জানুয়ারী মালেকপ্লাজায় স্কাউটিং কমিটি নিয়ে বসা হয়। সেখানে উত্তেজিত হয়ে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।
পাংশা উপজেলা নির্বাহী অফিসার এস.এম আবু দারদা বলেন, বিষয়টি আমি অবগত নয়। তবে খোঁজখবর নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Popular Post

‘মানুষ একটা ভাল নির্বাচনের জন্য অপেক্ষায় আছে’ -আলী নেওয়াজ মাহমুদ খৈয়াম

পাংশায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকর্মী শিক্ষককে পেটানোর অভিযোগ

Update Time : 06:32:27 pm, Thursday, 23 January 2025

রাজবাড়ীর পাংশায় স্কাউটিং কাউন্সিল নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক শিক্ষককে ডেকে নিয়ে ৬জন শিক্ষক মিলে পিটিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজবাড়ী জেলা প্রশাসক ও জেলা শিক্ষা অফিসারের নিকট লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী নির্যাতিত ১০৯ নং চরলক্ষীপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আব্দুল মালেক।
ভুক্তভোগী নির্যাতিত ১০৯ নং চরলক্ষীপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আব্দুল মালেক বলেন, পাট্রাজোনা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ খায়রুল ইসলাম গত ১3 জানুয়ারী সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার সময় ডেকে পাঠায় কাব স্কাউটিং কাউন্সিল নির্বাচনের ব্যাপারে জরুরী কথা আছে। পাংশা শহরের মালেক প্লাজার ভিতর পৌছালে পাট্রাজোনা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ খায়রুল ইসলাম, ধানুরিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোঃ শাজাহানুল হক, রুপিয়াট সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক কাজী শামসুল হক, নিশ্চিন্তপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোঃ আমিরুল ইসলাম, কসবামাজাইল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোঃ রাশেদুর রহমান, কবি নজরুল ইসলাম সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ জাকির হোসেন এলোপাথারী কিল, ঘুষি, স্কেল ও লাঠি দিয়ে আঘাত করলে প্রচন্ড আহত হন। পকেটে থাকা ৫ হাজার ২শত টাকা হাতিয়ে নেওয়াসহ জ্যাকেট ছিড়ে ফেলে। পরে মেজ ভাই আব্দুল খালেক মন্ডল উদ্ধার করে বাড়ীতে নিয়ে যায়।
তিনি আরও বলেন, প্রহারকারী শিক্ষকগণের কারণে পাংশা উপজেলায় মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা বাস্তবায়পন বাধাগ্রস্থ হচ্ছে। পাংশা উপজেলায় এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রাথমিক শিক্ষা পরিবারে হতাশা নেমে এসেছে। তিনি সকলের বিচার দাবী করেন।
অভিযুক্ত পাট্রাজোনা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ খায়রুল ইসলাম বলেন, ধাক্কাধাক্কি হয়েছে। তবে মারধর করা হয়েছে কিনা জানি না। তবে পরে বিএনপি নেতা রাজা ভাই উপস্থিত হয়ে বিষয়টি মিমাংসা করে দিয়েছেন।
অভিযুক্ত ধানুরিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোঃ শাজাহানুল হক মারধরের কথা অস্বীকার করে বলেন, বিষয়টি মিমাংসা হয়েছে। পরে আমরা একসাথে অনুষ্ঠানে খাওয়া-দাওয়া করেছি।
রুপিয়াট সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক কাজী শামসুল হক ঘটনাস্থলে ছিলেন না বলে দাবী করেন।
নিশ্চিন্তপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোঃ আমিরুল ইসলাম বলেন, ওখানে মারামারি হয়নি, আগের বিরোধ ছিল, তাই মিমাংসা করে দিয়েছেন রাজা মামা।
কসবামাজাইল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোঃ রাশেদুর রহমান বলেন, আমি প্রতিদিনই স্কুল শেষে পাংশা শহরে ঘুরতে যাই। ওখানে মালেক ভাই উত্তেজিত হলে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।
কবি নজরুল ইসলাম সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ জাকির হোসেন বলেন, গত ১৩ জানুয়ারী মালেকপ্লাজায় স্কাউটিং কমিটি নিয়ে বসা হয়। সেখানে উত্তেজিত হয়ে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।
পাংশা উপজেলা নির্বাহী অফিসার এস.এম আবু দারদা বলেন, বিষয়টি আমি অবগত নয়। তবে খোঁজখবর নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।