সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা তিন দফা দাবিতে টানা কর্মবিরতি চালিয়ে যাচ্ছেন। এতে সারাদেশের সাড়ে ৬৫ হাজার বিদ্যালয়ে পাঠদান কার্যত বন্ধ রয়েছে।
আগামী সোমবার (১ ডিসেম্বর) থেকে বার্ষিক পরীক্ষা শুরুর কথা থাকলেও দাবি বাস্তবায়ন না হলে পরীক্ষায় অংশ না নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন শিক্ষকরা। সারাদেশের ন্যায় রাজবাড়ী জেলার প্রতিটি বিদ্যালয়ে কর্মবিরতি চলছে, সকাল ১১ টায় রাজবাড়ী পাংশা উপজেলা শহরের বাঁশআড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পাংশা মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মৈশালা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বহলাডাংগা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, হাজরাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ পাংশা উপজেলার সকল বিদ্যালয়ে পূর্ণ কর্মবিরতি চলছে বলে পাংশা উপজেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি মো জহুরুল হক ও সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম জানিয়েছেন।
শিক্ষক নেতারা জানিয়েছেন, সরকার রবিবার (৩০ নভেম্বর) রাতের মধ্যে দাবি পূরণে কার্যকর সিদ্ধান্ত না দিলে সোমবার শুরু হতে যাওয়া বার্ষিক পরীক্ষা বর্জন করা হবে।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর (ডিপিই) সূত্রে জানা গিয়েছে দেশে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা ৬৫ হাজার ৫৬৯টি। এখানে তিন লাখ ৮৪ হাজারের বেশি শিক্ষক কর্মরত। প্রধান শিক্ষকরা ইতোমধ্যে দশম গ্রেডে বেতনভুক্ত হলেও সহকারী শিক্ষকরা এখনও ১৩তম গ্রেডে আছেন। গ্রেড উন্নীতকরণ, উচ্চতর গ্রেড সমস্যা সমাধানসহ কয়েকটি দাবি তারা দীর্ঘদিন ধরে জানিয়ে আসছেন শিক্ষকরা। এর আগে গত ৮-১২ নভেম্বর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষকরা। ওই সময় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে দেড় শতাধিক শিক্ষক আহত হন। পরে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং অর্থ মন্ত্রণালয়ের আশ্বাসে শিক্ষকরা কর্মস্থলে ফিরে গেলেও প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে অগ্রগতি না হওয়ায় তারা আবার কর্মবিরতিতে ফেরেন।
সহকারী শিক্ষকদের তিন দফা দাবি-
১. বেতন স্কেল দশম গ্রেডে উন্নীতকরণ
২. ১০ ও ১৬ বছর পূর্তিতে উচ্চতর গ্রেড সমস্যার সমাধান
৩. শতভাগ বিভাগীয় পদোন্নতি দিতে হবে।
মন্তব্য করুন